যশোরের চাঞ্চল্যকর রাকিব হত্যাকাণ্ডে জড়িত কিশোর গ্যাংয়ের ৯ সদস্যকে ধারালো রক্তমাখা ছুরি সহ বিভিন্ন অস্ত্রসহ আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন। তারা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য ও এ হত্যাকাণ্ডে তাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার র্যাব-৬ খুলনার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন সিপিসি-৩ যশোরের কমান্ডার লে. নাজিউর রহমান। আটককৃতরা হলো- মানিক, আজিজুল হোসেন ওরফে হিটার আজিজ, বাধন, ইমন শেখ ওরফে শুটার ইমন, অনিন্দ্র রায়েক দেবা, ইসমীর, তরিকুল ইসলাম, সোহাগ মুন্সি ও ইশান হোসেন। যশোর শহরের বকচর ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। এরা ওই এলাকার কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। এসব কিশোররা নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে আসছিল। তাদের কাছ থেকে রক্তমাখা ছুরি, পাইপ, হাঁসুয়া প্রভৃতি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
উল্লেখ, গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার দিকে রাকিব বকচরের মাঠপাড়ার শহিদুল ইসলামের চটপটির দোকানে চটপটি খেতে যান। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে রাকিব বন্ধুদের সাথে চটপটি খাচ্ছিলেন। এ সময় একদল অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে আনলে সন্ধ্যা ছয়টা ৪৫ মিনিটে মৃত ঘোষণা করেন। রাকিব ঐ এলাকার মৃত আব্দুর রহমান লিটুর বড় ছেলে। এঘটনায় নিহতের চাচা হুশতলা কবর স্থানের পশ্চিমপাশের হাফিজুর রহমান বটু ৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২৬/২৭ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
মামলায় আসামিরা হচ্ছে নীলগঞ্জ হুশতলার মোড়ের আলমগীর হোসেনের দুই ছেলে সবুজ ও সজিব, মৃত মানিক মিয়ার ছেলে দুই ছেলে গিয়াস উদ্দিন ও বছির উদ্দিন, বকচর বিহারী কলোনী মাঠপাড়ার সুকুমার রায়ের দুই ছেলে শান্ত ও প্রান্ত, নাজির শংকরপুর মাঠপাড়ার মৃত সোবহানের ছেলে আব্দুল আওয়াল, নীলগঞ্জ তাঁতীপাড়ার টেরা আজগরের ছেলে আসাদ এবং ইকরাম শেখের ছেলে ইমন। পুলিশ আসামি আওয়ালকে আটক করেছে। র্যাব-৬ এর একটি দল জড়িত ওই নয় কিশোর গ্যাং সদস্যদের আটক করে।
No comments:
Post a Comment