যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটিতে গরু চুরির সাথে পল্লী বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা বেড়েছে। সোমবার রাতেও দুটি গরু ও দুটি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। এই নিয়ে গত ৩০ দিনে চুড়ামনকাটি এলাকায় ১৭ টি গরু ও এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৯ টি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটলো। পুলিশ টহলের মধ্যে একের পর এক চুরির ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের পোলতাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক গোলাম হোসেন জানান, রাত ১০ টার দিকে ৩ গরুর খাবার দিয়ে ঘুমাতে যান। রাত আড়াইটার দিকে গরুর পায়ের শব্দ শুনে তার ঘুম ভেঙে যায়। এ সময় বাইরে এসে দেখতে পায় গোয়ালঘরে কোনো গরু নেই। বাইরে একটি গরু ঘোরাঘুরি করছে। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে খোঁজাখুজি করেও বাকি দুই গরুর সন্ধান মেলাতে পারেনি। গোলাম হোসেন আরও জানান, তিনটির মধ্যে একটি গরুর গলায় ছোট দড়ি থাকায় চোরেরা সেটি নিতে পারেনি। বাকি দুটো গরু নিয়ে গেছে।
এরআগে গত ৬ অক্টোবর রাতে চুড়ামনকাটির পাশের গ্রাম দৌলতদিহির জামাল তরফদারের বাড়ির গোয়াল ঘর থেকে ৩ গরু , ১৬ অক্টোবর রাতে বাগডাঙ্গা গ্রামের মৃত নূর ইসলাম গাজীর ছেলে কৃষক হায়দার আলীর ৪ গরু ও ২৮ অক্টোবর রাতে আব্দুলপুর গ্রামের হাসান আলীর ৫ গরু ও ৩০ অক্টোবর রাতে যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটির ছাতিয়ানতলা গ্রামের সরদারপাড়া সুলতান সরদারের ছেলে মনা সরদারের ৩ গরু চুরির ঘটনা ঘটে। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গরুর সাথে পাল্লা দিয়ে চুরি হচ্ছে পল্লী বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার। সোমবার রাতে চুড়ামনকাটির উত্তরপাড়ার বৈদ্যুতিক খাম্বা থেকে দুটি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। এই নিয়ে গত এক সপ্তাহে চুড়ামনকাটি এলাকায় ৯ টি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটলো। চুড়ামনকাটি উত্তরপাড়া থেকে তিনটি ছাড়াও চুড়ামনকাটির টু স্টার ইট ভাটার পাশের খাম্বা থেকে ২ টি ট্রান্সফরমার, মহাসড়কের পাশে গ্রামীনফোনের কার্যালয় সংলগ্ন খাম্বা থেকে ২ টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়। এভাবেই চোরচক্র রাতের আঁধারে গ্রাম ও মাঠ থেকে গরু ও ট্রান্সফরমার চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সাজিয়ালী ক্যাম্পের সদস্যরা রাতে ঠিকমতো টহলের দায়িত্ব পালন করেন না। তারা চুড়ামনকাটি বাজার ও আমতলা এলাকায় অধিকাংশ সময় পার করে দেয়। ফলে সুযোগ বুঝে চোরেরা কার্যক্রম করছে। একের পর এক চুরি হলেও ক্যাম্প পুলিশের কোনো মাথা ব্যথা নেই।
এই বিষয়ে সাজিয়ালী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সুকুমার কুন্ডু জানান, গরু চুরির ঘটনা সম্পর্কে অবগত আছি। পুলিশ গরু চোর ধরতে সব ধরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। চিহ্নিত দুই গরু চোরকে ধরার পর রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। একের পর এক গরু চুরির ঘটনা গুরুত্বের সাথে নেয়া হয়েছে। তবে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার চুরির বিষয়টি জানা নেই বলে জানিয়েছেন এস আই সুকুমার।
No comments:
Post a Comment