যশোরের প্রতারণার অভিযোগে শরিফুল ও রিয়াজুল নামের দুই ভাই সহেআরো কয়েকজনকে আটক করেছে যশোরের র্যাব সদস্যরা। রোববার দুপুরে র্যাব-৬ সদস্যরা ধর্ম তলা থেকে তাদেরকে আটক করে। অভিযোগ রয়েছে তারা যশোরে ইউনিক ফোর্স নামে ভুয়া প্রতিষ্ঠান খুলে কোটি কোটি টাকা লুট করেছেন।পরে নতুন করে আরেকটি প্রতিষ্ঠান খুলে একই কাজ করার চেষ্টা করছিলেন। একটি সূত্র জানায়, আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক যশোর শহরের বেজপাড়া এলাকার আলাউদ্দীন আহম্মেদের ছেলে রিয়াজউদ্দীন আহম্মেদ ও পরিচালক ঝিকরগাছা উপজেলার পুরন্দরপুর গ্রামের রাবিউল ইসলামের ছেলে শরিফুল ইসলাম ও তার ভাই রিয়াজুল, বিরামপুর এলাকার আজিজ।
যশোর র্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার লেঃ নাজিউর রহমান বলেন, তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ছিলো্। প্রথমে তারা তদন্ত করে। এরপর সত্যতা পেয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। এসময় আরো কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
উল্লেখ্য, অভিযোগ রয়েছে যশোর শহরের বিভিন্ন স্থানে অফিস খুলে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ে, মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে, পৌরসভা, ব্যাংকে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মোটা অংকের বেতনের লোভ দেখিয়ে চাকরি দেয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। প্রথমে চাঁচড়া মোড়ে ইউনিক ফোস নামে প্রতিষ্ঠান চালালেও এক পর্যায় চাপের মুখে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে যশোর ধর্মতলা আয়েশা আবেদ ফাউন্ডেশনের নিকটে ভিন্ন নামে প্রতিষ্ঠান খুলে প্রচারনা শুরু করেন। এক পর্যায় র্যাব সেই প্রতিষ্ঠানে হানা দিয়ে তাদেরকে আটক করে।
এদিকে, র্যাবের আরেকটি সূত্র জানায়, সোমবার এ বিষয়ে র্যাবের পক্ষথেকে প্রেস ব্রিফিং করা হবে। সে সময় বিস্তারিত জানানো হবে।
২০১৯ সালে যশোরের চাঁচড়া চেকপোস্ট মোড়ে সম্পূর্ণ প্রতারণামূলক প্রচারণা চালিয়ে ইউনিক ফোর্স নামে একটি চাকরি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান খোলে প্রতারক চক্র। রিয়াজুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম নামে দু’জন যোগসাজসে আরো কয়েক প্রতারককে সাথে নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে।কাউকে চাকরি দিতে না পারলেও কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।
এরপর চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে যশোরের চাঁচড়া ও ধর্মতলার মধ্যবর্তী স্থানে হাইরোডের পাশে আয়েশা আবেদ ফাউন্ডেশনের পাশে একটি দোতলা ভবন ভাড়া নিয়ে শুরু করে নয়া প্রতারণা। একই চক্র এবার ‘ফিউচার আউট সোর্সিং প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে একই ভান্ডামি শুরু করে। ট্রেনের এটিটি পদে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা শুরু করে।
No comments:
Post a Comment