যশোরের বিভিন্ন স্থানে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা বেড়েছে। ইতিমধ্যে কয়েকজন প্রার্থী ও সমর্থকরা হামলার শিকার হয়েছেন ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ সোমবার সকালে এ হামলার শিকার হয়েছেন বাঘারপাড়া উপজেলার জহুরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বদর মোল্লা। সন্ত্রাসী এ হামলায় তিনিসহ গুরুতর জখম হয়েছেন তার ভাই মন্নু মোল্লা, ছেলে এস এম আসিফ ইকবাল লোটাস, ভাগ্নে ইশতিয়াক হোসেন, মাহবুবুর রহমানসহ ৮ জন। এসময় সন্ত্রাসীরা তাদের বহনকারী মাইক্রোবাস ও তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে।
বাঘারপাড়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৮ জন জখম,আহত বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান বদর মোল্লা বলেন, এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনিসহ অন্যান্যরা একটি মাইক্রোবাসযোগে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাঘারপাড়া উপজেলা নির্বাচনী কর্যালয়ে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে হুলিহট্টমোড়ে সন্ত্রাসীরা তার গাড়িতে ব্যারিকেড দেয়। এসময় ধারালো অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা তাকে টেনে হিচড়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারপিট করে মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নেয়। একইসাথে তার কর্মীদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয় এবং মাইক্রোবাস ও তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। পরে তাদের চিৎকারে গ্রামবাসী এসে উদ্ধার করে যশোর আড়াইশ’ শয্যা বিশিষ্ঠ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে। বাঘারপাড়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৮ জন জখম হয়েছে,তিনি বলেন, জহুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে এদিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনিসহ তার সমর্থকরা বাঘারপাড়া নির্বাচনী কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাচ্ছিলেন। পথে তাদের ওপর এ হামলা চালানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে মাহবুবুর রহমানের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার জসীম উদ্দীন জানিয়েছেন। তার মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বড় ধরণের ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। পিটুনীতে বাকিদের হাত-পা ভেঙে গেছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালীতে নির্বাচনী গণসংযোগকালে হামলায় ৭জন কর্মী আহত হন ও চৌগাছায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর গাড়িতে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে যশোর জেলা প্রশাসক মোঃ তমিজুল ইসলামের নিকট জানতে তার মুঠোফোনে সাংবাদিকরা একাধিকবার রিং দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
No comments:
Post a Comment