যশোরে নৌকা প্রতীক পেয়েছে দুই রাজাকার পুত্র বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় বইছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানা যায়, একজন জেলার বাঘারপাড়া উপজেলার ৩ নং রায়পুর ইউনিয়নের বিল্লাল হোসেন ও অন্যজন মনিরামপুরের ১১ নং চালুয়াহাটি ইউনিয়নের আবুল ইসলাম।
জানা যায় শনিবার বিকাল ৪ টা থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর সরকারী বাসভবন গণভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের মুলতবি সভায় যশোরের তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। কিন্তু প্রার্থঅদের মধ্যে এই দুই জন রাজাকার পুত্র বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল হইচেই শুরু হয়েছে।
বাঘারপাড়া উপজেলার ৩ নং রায়পুর ইউনিয়নের বিল্লাল হোসেন রাজাকার ও পিচ কমিটির চেয়ারম্যান মৃত মোহাম্মদ আলীর পুত্র।
অন্যদিকে মনিরামপুরের ১১নং চালুয়াহাটি ইউনিয়নের আটঘরা গ্রামের দিনু রাজাকারের ছেলে আবুল ইসলাম নৌকা প্রতীকে মনোনীত হয়েছেন।
এ দুই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে স্থানীয়রা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র নিকট উক্ত রাজাকার পুত্রদের মনোনয়ন বাতিলের জোর দাবি করেছেন।
অনেকে নানা ভাষায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
শহিদুল ইসলাম মিলন নামের এক ব্যক্তি তাঁর ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, দেশমাতৃকার টানে হাতে অস্ত্র নিয়ে জীবনবাজি রেখেছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধারা, তাদের আবেদনও প্রত্যাখান! যারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ভুল ম্যাসেজ দিয়েছেন নিশ্চয় ইতিহাস তাদের ক্ষমা করবে না…………
আফিপ আনজুম রিফাত নামের একজন লিখেছেন, আদর্শিক কর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয় এগুলা দেখলে। মনের রাখবেন কর্মীরা বিদ্রোহী হয় না। কর্মীরা বিশ্বাসঘাতক হয় না। অভিমানী হয়। এই অভিমানের উৎস এই সব অনাচার।দেখার কি কেউ নেই??
তথ্য উপাত্তে জানা গেছে, এই দুই প্রার্থীর বিরুদ্ধে দলীয় সভাপতিসহ দলের অন্যন্য হাইকমান্ডের কাছে রাজকারপুত্র উল্লেখ করে নৌকা প্রতীক না দেয়ার অনুরোধ করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, তৃতীয় ধাপে ১ হাজার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) এবং ১০টি পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে আগামী ২৮ নভেম্বর।
ইতিমধ্যে তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ২ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। মনোনয়নপত্র বাছাই ৪ নভেম্বর ও প্রত্যাহারের শেষ সময় ১১ নভেম্বর। ভোটগ্রহণ হবে ২৮ নভেম্বর।
এর পাশাপাশি ১০টি পৌরসভায় ২৮ নভেম্বর ভোটগ্রহণ হবে বলে জানান ইসি সচিব। এই ১০টি পৌরসভার নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা, বাছাই ও প্রত্যাহারের জন্য একই সময় নির্ধারন করা হয়েছে।
প্রথম ধাপে গত ২১ জুন ২০৪টি ইউপি ও ২০ সেপ্টেম্বর ১৬০টি ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৮টি ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১১ নভেম্বর।
No comments:
Post a Comment