অনুমোদনহীন ও অপচিকিৎসার দোষে দুষ্ট বেসরকারি হাসপাতাল এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে যশোর স্বাস্থ্য বিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় বহু বিতর্কিত শহরের ঘোপ জেল রোডের বন্ধন হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোববার অভিযান চালানো হয়েছে। এ সময় বন্ধন হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার সিলড ও ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন। সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, রোববার দুপুরে বন্ধন হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আকস্মিক অভিযান পরিচালনা করা হয়। তখন প্রতিষ্ঠানটিতে একটি সিজারিয়ান অপারেশন চলছিল। কিন্তু অ্যানেসথেশিয়ার কোনো ডাক্তার ছিলেন না। দুপুর পৌঁনে একটা থেকে শুরু করে ঘণ্টাব্যাপী ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। কিন্তু কোনো ডিউটি ডাক্তারকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ডিপ্লোমা পাস করা কোনো নার্সও নেই প্রতিষ্ঠানটিতে। ১০ বেডের অনুমতি নিয়ে কাজ শুরু করা প্রতিষ্ঠানটিতে ২৩টি বেডে রোগী ভর্তি রাখা হচ্ছে। লাইসেন্স হালনাগাদ করাতেও গড়িমসি করছে মালিকপক্ষ। প্রসূতি সেবার নামে অপচিকিৎসাসহ নানাবিধ অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় বন্ধন হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার সিলড করা হয়েছে। একই সাথে অপারেশনকারী ডাক্তারকে শোকজ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
একইদিন দুপুর আড়াইটার দিকে যশোর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ অভিযান চালায় ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। অভিযান চলাকালে ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক কর্তৃপক্ষ অনুমোদনের কোনো প্রমাণপত্র দেখাতে পারেনি। নোংরা প্যাথলজি কক্ষে টেকনোলজিস্ট হিসেবে যিনি রয়েছেন,তারও কোনো অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতি নেই। অথচ তিনি দিব্যি রোগীদের প্যাথলজিকাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ভুয়া রিপোর্ট প্রদান করছেন। এসব অভিযোগে স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
সিভিল সার্জন আরও জানান, ছয় মাস আগেও স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান দুইটিকে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু এতো দিনেও তারা কোনো নিয়মের মধ্যে আসেনি। অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠান বন্ধে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযান চলমান রয়েছে। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া কোনো স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান চলতে দেয়া হবেনা।
অভিযানে সহযোগিতায় ছিলেন যশোর আড়াইশ’ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট আব্দুর রহিম মোড়ল, ডেপুটি সিভিল সার্জন সাইনুর সামাদ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান,মেডিকেল অফিসার রেহনেওয়াজ রনি ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান।
সিভিল সার্জন আরও জানান, ছয় মাস আগেও স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান দুইটিকে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু এতো দিনেও তারা কোনো নিয়মের মধ্যে আসেনি। অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠান বন্ধে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযান চলমান রয়েছে। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া কোনো স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান চলতে দেয়া হবেনা।
অভিযানে সহযোগিতায় ছিলেন যশোর আড়াইশ’ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট আব্দুর রহিম মোড়ল, ডেপুটি সিভিল সার্জন সাইনুর সামাদ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান,মেডিকেল অফিসার রেহনেওয়াজ রনি ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান।
No comments:
Post a Comment