ইসরায়েলে একদিনে সর্বোচ্চ প্রায় ১১ হাজার করোনা শনাক্ত হয়েছে। টিকাদানের হারে শীর্ষে থাকা এই দেশটিতেও করোনার অতিসংক্রামক ডেল্টা ধরনের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। অথচ ‘টিকার সাফল্যে’ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটি। এর আগে ইসরায়েলে একদিনে সর্বোচ্চ ১০ হাজার ১১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল গত ১৮ জানুয়ারি। মঙ্গলবার ইসরায়েলে নতুন করে ১০ হাজার ৯৪৭ জনের করোনা শনাক্ত হলেও দেশটির সরকার বুধবার (১ সেপ্টেম্বর থেকে) স্কুল খুলে দেওয়ার ব্যাপারে অনড়। প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট তার পূর্বসূরি বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দিনের পর দিন লকডাউন আরোপের বিরোধী ছিলেন। তার দাবি টিকার মাধ্যমে এবং মাস্ক পরা ও শারীরিক দূরত্ব মেনে চলার মতো স্বাস্থ্যবিধির মাধ্যমে ভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। তার সরকার বারো বছরের বেশি বয়সী সবাইকে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার তৃতীয় তথা বুস্টার ডোজ নেওয়ার জন্য উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলের ৯৩ লাখ মানুষের ৬০ শতাংশ টিকার দুই ডোজ নিয়েছেন, এর মধ্যে ৮০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক রয়েছেন। গত বছরের ডিসেম্বরে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ইসরায়েলে দেশজুড়ে জাতীয় কোভিড টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছিল। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে দৈনিক শনাক্ত অনেকটা কমে গিয়েছিল। এরপর গত জুনে প্রায় সব ধরনের মহামারি বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এরপর সময়ে সময়ে দেশটি অভ্যন্তরীণ জনসমাগসস্থলে মাস্ক পরা, প্রকাশ্যে কতজন একসাথে মিলিত হতে পারবেন সেই সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া এবং কিছু জায়গায় ঢোকার জন্য টিকার সার্টিফিকেট দেখানোর মতো বেশ কিছু বিধিনিষেধ পুনরায় আরোপ করেছিল।
No comments:
Post a Comment