যশোরে ব্যবসায়ী ধনী পিতার মাদকাসক্ত সন্তান জাবির হাসান (১৭) শহরে মাইক্রোবাস নিয়ে তান্ডব চালিয়েছে। এতে প্রাণ হারিয়েছেন হরেণ দাশ (৭৫) নামে এক বৃদ্ধ চর্মকার। আহত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন আরও চারজন। এরা হলেন, শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের নূর ইসলামের ছেলে রিকশা চালক আল-আমিন (৩০), পুলিশ লাইন এলাকার অমরেশের ছেলে হিমেল (৮), লুৎফর রহমানের ছেলে মাজেদুল হাসান (২৬) ও কারবালা রোডের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে মামুন হোসেন (৪০)।
আহতরা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে শহরের পুরাতন কসবা পুলিশ লাইন এলাকার ব্যবসায়ী জহির হাসানের ছেলে জাবির হাসান একটি মাইক্রোবাস নিয়ে শহরে ঘুরতে বের হয়। এ সময় আরবপুর এসপি বাংলোর সামনে দ্রুতগতির ওই মাইক্রোবাস একটি রিকশায় ধাক্কা দেয়। এতে চর্মকার হরেণ ও রিকসা চালক আল-আমিন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৮ টায় হরেণের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর স্থানীয়রা মাইক্রোবাসটি তাড়া করলে ওয়াপদা গ্যারেজের সামনে মামুন ও পুলিশ লাইন এলাকায় হিমেল ও মাজেদুল হাসানকে চাপা দিয়ে গাড়িটি পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এরপর স্থানীয়রা অভিযুক্ত জাবির হাসানের বাড়িতে চড়াও হয়ে তাকে ধরে মারপিট করে। খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে ও অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।স্থানয়ীরা জানিয়েছেন, প্রায়দিনই জাবির হাসান মাইক্রোবাস নিয়ে শহরে ঘুরতে বের হয়। তার বেপরোয়া গাড়ি চালাবার কারনে আগেও একাধিক মানুষ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। রাস্তার পাশের একাধিক দোকান গাড়ির চাকায় গুড়িয়ে দিয়েছে বেপরোয়া এই যুবক। মাদকাসক্ত হয়ে সে গাড়ি চালায় বলে স্থানীয়রা অভিযোগে জানিয়েছে। এ বিষয়ে এলাকাবাসী তার বাড়িতে অভিযোগ করতে গেলে উল্টে হয়রাণির শিকার হয়। এ কারণে এদিন তারা জাবিরকে ধরে পিটুনী দিয়েছে।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তদন্ত শেখ তাসমীম আলম জানান, অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই যুবক মাদকাসক্ত হয়ে গাড়ি চালাচ্ছিল। ইতিমধ্যে তার ডোপ টেস্ট করা হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে জানা যাবে সে মাদকাসক্ত ছিল কিনা। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ভাই খবরে কিছু ভুল আছে। এলাকার লোকজন কেউ তাকে পিটুনি দিতে পারে নাই। তাকে অন্য কোন জায়গা থেকে মারা হয়েছে। এতে তার মাথার থেকে অনেক রক্ত ক্ষরণ হয়েছে। তাছাড়াও তার গাড়িতে আরও 3-4 জন্য ছিলো।
ReplyDelete