যশোরে করোনায় মৃত্যুতে রেকর্ড হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে ১৭ জন। গত শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল আটটা পর্যন্ত এ মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এটিই যশোরে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এদিকে, করোনা রোগীর চাপ সামলানো ও যথাযথ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে নতুন নতুন উদ্যোগ ও কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল মিলে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্যে একশ’ ৩৪টি বেড সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়ার পর এবার ইয়োলোজোন অর্থাৎ করোনা উপসর্গের রোগী ভর্তির স্থান সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা রেডজোনে মৃত্যুবরণকারীরা হলেন, শহরের বেজপাড়া এলাকার সখিনা (৬০), মণিরামপুর উপজেলার দেবীদাসপুরের মিজানুর (৪২), চুয়াডাঙ্গার জীবননগর আমতলার মনোয়ারা (৭০), ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের আগমুন্দিয়ার হামিদা (৭৫), গাবতলার মোবাছের আলী (৫৩), মহেশপুরের একতারপুরের আনোয়ারা (৬৫) ও যশোর সদর উপজেলার ছোট মেঘলার সমেত্ত বেগম (৬০)। এছাড়া, করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের এসহক আলী (৮৪), যশোরের চৌগাছার ফুলসারার তোফাজ্জেল (৭৫), অভয়নগরের নওয়াপাড়ার আব্দুল লতিফ (৭০), মণিরামপুরের নজরুল (৫৫), সদর উপজেলার আরিচপুরের আজিত বিশ্বাস (৬৫), বসুন্দিয়ার অজিত সাহা (৮০), সদর উপজেলার মনোহরদির ইউনুস (৬৪), ভেকুটিয়ার তাজুল ইসলাম (৬০), উপশহর এলাকার নাজমা (৩৮) ও মণিরামপুরের কুয়াদার আয়শা (৭৫)।
এদিকে, যশোর স্বাস্থ্য বিভাগ প্রদত্ত তথ্য অনুসারে ৪ জুলাই যশোরে মোট ছয়শ’ ১৪টি নমুনা পরীক্ষা করে একশ’ ৭৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের শতকরা হার ২৭ দশমিক ৬৮।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২শ’ ৪২ নমুনায় ৭৫ জন ও র্যাপিড অ্যান্টিজেনে ৩শ’ ৬২ নমুনায় ৯৪ জন এবং ১০ নমুনার জিন এক্সপার্ট পরীক্ষায় চার পজিটিভ এসেছে। এ পর্যন্ত যশোরে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৩ হাজার ২শ’ ৩২ জন। সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৪শ’ ৬৯ জন। করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১শ’ ৬৯ জন। রোববার সকাল পর্যন্ত হাসপাতালে ১শ’ ২১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছেন। এছাড়াও করোনা উপসর্গে ভর্তি আছেন ৯৫ জন।
বেসরকারি হাসপাতালের একশ’টি বেডের সেবাদান কার্যক্রম সম্পর্কে যশোর সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বলেন, এসকল হাসপাতালে সেবাদান কার্যক্রম সরকারি হাসপাতালের মতোই হবে। সেবা প্রার্থীরা জানবেন অবকাঠামো এবং ডাক্তার ও নার্স সেই বেসরকারি হাসপাতালের হলেও ব্যবস্থাপনা সম্পূর্ণ সরকারি হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে হবে।
No comments:
Post a Comment