বন্ধ থাকার আড়াই মাস পর আবারও ভারত থেকে শুরু হয়েছে অক্সিজেন আমদানি। সোমবার (০৫ জুলাই) বেনাপোল স্থলবন্দর পরিদর্শক এ কে এম সাইফুদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত দু'দিনে ভারত থেকে একশ' ৯০ মেট্রিক টন অক্সিজেন আমদানি করেছে লিনডে বাংলাদেশ নামে একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।
প্রতি বছর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রায় ৩৫ হাজার মেট্রিক টন অক্সিজেন আমদানি হয়ে থাকে। তবে অক্সিজেন সংকট দেখা দেওয়ায় গত ২২ এপ্রিল অক্সিজেন রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার।
বর্তমানে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুহার কমে আসায় আবারও অক্সিজেন রপ্তানি শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশে গড়ে প্রতিদিন ১০০-১২০ টনের মতো অক্সিজেনের দরকার হয়। কিন্তু মার্চ মাসে করোনা সংক্রমণ অনেক বেড়ে যাওয়ার পর সেই চাহিদা দৈনিক ৩০০ টন পর্যন্ত উঠেছিল। এ চাহিদার একটি অংশ দেশেই উৎপাদিত হয়, বাকিটা প্রধানত ভারত থেকে আমদানি করতে হয়। তবে দেশে আবারও বেড়ে গেছে করোনা সংক্রমণ।
গত ২৬ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন পরিচালক ও মুখপাত্র ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন বিবিসি বাংলাকে জানান, ভারত অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করলেও আমাদের কোনো সমস্যা হবে বলে মনে হয় না। তারপরেও আমরা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে রাখছি। বাংলাদেশে যারা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অক্সিজেন তৈরি করে, এ রকম বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমরা এর মধ্যেই কথা বলতে শুরু করেছি। যদি প্রয়োজন পড়ে, তাহলে তারা মেডিকেল অক্সিজেন সরবরাহ করবে।
ইসলাম অক্সিজেনের কর্মকর্তা বদর উদ্দিন আল হোসেনও বলছেন, অক্সিজেনের চাহিদা যদি আরও বেড়ে যায়, তখন আমরা শিল্প খাতের অক্সিজেন মেডিকেল খাতে পরিবর্তন করে নিয়ে আসবো। আরও যে কয়েকটি কারখানা অলস পড়ে আছে, সেগুলোও চালু করা যায়। আমরা এর মধ্যেই এরকম দুইটি কারখানা চালু করেছি। তারপরেও দরকার হলে চায়না, সিঙ্গাপুর থেকে অক্সিজেন আমদানি করে আনা যাবে।
ফলে চাহিদা বাড়লেও অক্সিজেনের সংকট তৈরি হবে না বলেই তিনি মনে করেন সেই সময়।
সারা দেশে তাণ্ডব চালাচ্ছে মহামারি করোনা ভাইরাস। সোমবার (৫ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা ও ময়মনসিংহসহ দেশের ২১ জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এবং উপসর্গ নিয়ে ১৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
No comments:
Post a Comment