রোববার (৪ জুলাই) কোভিড-১৯ পরিস্থিতি সবশেষ তথ্য বিবরণীতে এসব তথ্য জানিয়েছে আইইডিসিআর। সংস্থাটি বলছে, দেশে কোভিড সংক্রমণে ডেল্টা ধরনের সুস্পষ্ট প্রাধান্য দেখা যাচ্ছে।
তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, সারাবিশ্বে কোভিড ১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসটি পরিবর্তিত হয়ে নতুন চেহারা ও বৈশিষ্ট ধারণ করছে যা ভ্যারিয়েন্ট নামে পরিচিত। সংক্রমণের গতি, রোগের জটিলতা (মৃত্যু হার ও হাসপাতালে ভর্তির হার), রোগ পরবর্তী ও টিকা গ্রহণ পরবর্তী রোগ প্রতিরোধ সক্ষমতা বিবেচনায় কিছু কিছু ভ্যারিয়েন্টকে ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেমন আলফা, বিটা, গামা ও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট।
আরও জানানো হয়েছে, ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে জুন ২০২১ সাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মোট ৬৪৬ টি সংগৃহীত নমুনার জিনোম সিকোয়েন্ট সম্পন্ন হয়। এ সকল নমুনায় কোভিড ১৯ এর আলফা, বিটা, ডেল্টা, ইটা ও বি ১.১.৬১৮ ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে।
এমনকি প্রতিটি নমুনায় আলফা ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। মার্চ মাসে সংক্রমিতদের মধ্যে ছিল বিটা ভ্যারিয়েন্টের প্রাধান্য। মে মাসে ৪৫ ভাগ ও জুন মাসে ৭৮ ভাগ নমুনায় শনাক্ত হয়। বর্তমানে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রাধান্য দেখা যাচ্ছে।
তবে যে ধরনের ভ্যারিয়েন্টই হোক না কেনো তা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
No comments:
Post a Comment