মালয়েশিয়ায় প্রতিদিনই রেকর্ড হচ্ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। সেইসঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। এই ধারাবাহিকতায় মালয়েশিয়ার মেলাকায় সব শিল্প খাতের নিয়োগকর্তাদেরকে তাদের বিদেশি কর্মীদের আবাসিক এলাকা থেকে শ্রমিকদের নির্দিষ্ট হোস্টেলে স্থানান্তর করতে নির্দেশনা দিয়েছে রাজ্যটির সরকার।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) রাজ্যটির কুয়ালা লিঙ্গি এলাকায় টিকাদান কর্মসূচি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানান মেলাকা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুলাইমান মোহাম্মদ আলী।
তিনি জানান, বিদেশি কর্মীদের আবাসন, বাসস্থান ও সুযোগ-সুবিধার ন্যূনতম মান আইন ১৯৯০ (আইন ৪৪৬) এর আওতায় এই আদেশ কার্যকর হয়েছে। প্রতিদিন যে হারে এসব শিল্প কারখানায় শ্রমিকরা আক্রান্ত হচ্ছে, তাতে স্থানীয়দের মধ্যেও উদ্বেগ বাড়ছে। আর এই করোনা সংক্রমণের প্রাদুর্ভাব কমাতে শিল্প কারখানার সাথে জড়িত বিদেশি কর্মীদের জন্য নেওয়া পদক্ষেপ দ্রুতই কার্যকর করা হবে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় নাগরিকরা অভিযোগ করছেন বিদেশি কর্মীরা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (এসওপি) মেনে চলার পরও তাদের মধ্য থেকে দ্রুত এই ভাইরাস সংক্রমণ হচ্ছে। এসব শিল্প কারখানার কর্মীদের আবাসিক এলাকা থেকে যদি দ্রুত স্থানান্তর করা না হয়, তাহলে স্থানীয়দের মাঝেও এই সংক্রমণ বৃদ্ধি পাবে বলেও আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
এছাড়া মেলাকার আয়ার কেরোহ শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমে আরও অন্তত ৩ হাজারেরও বেশি বিদেশি শ্রমিক রয়েছেন। তাদেরকেও চিহ্নিত করে নির্দিষ্ট শিল্পখাতের হোস্টেলে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে নিয়োগকর্তারা যদি এই নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ার করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান রয়েছে ‘ন্যাশনাল রিকভারি প্ল্যান’ এর প্রথম ধাপের লকডাউন। পাশাপাশি দেশটিতে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং সিস্টেম (এসওপি) স্বাস্থ্যবিধি সুরক্ষা শতভাগ কার্যকর করতে গত ১ জুলাই থেকে দেশজুড়ে অভিযানে নেমেছে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা অন্তত ২১টি সংস্থা। এ অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেসি পাতুহ’।
দেশটিতে বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) গত ২৪ ঘণ্টায় মালয়েশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ২১৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১১০ জনের। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লাখ ৮০ হাজার ৭৮২ জন। এখন পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় করোনায় মারা গেছেন ৬ হাজার ৬১৩ জন এবং সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ৭ লাখ ৬৫ হাজার ৬১৩ জন।
No comments:
Post a Comment