যশোর শহরের বড়বাজারের মাছ বাজার সরিয়ে আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় রোড ও এর আশেপাশের রাস্তায় নেওয়া সিদ্ধান্ত হয়েছে। করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১০ ফুট দূরত্ব রেখে দোকান বসিয়ে আজ শুক্রবার থেকে মাছ বিক্রি করবেন প্রায় দেড় শতাধিক মাছ ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার যশোর পৌরসভার মেয়র হায়দার গণি খান পলাশ ও ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে তারা চলমান ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
মাছ বাজার আড়ৎদার সমবায় সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, মঙ্গলবার পৌরসভা থেকে মাছ ব্যবসায়ীদের চিঠি দিয়েছিলো, বড়বাজারস্থ মাছ বাজারে অভ্যন্তরে কোন দোকান বসতে পারবে না। দেড়শ’ দোকানের মধ্যে মাত্র ৪০টি দোকান স্থানান্তর করে পাশের সড়কে উন্মুক্ত স্থানে প্রতিটি দোকান ১০ ফুট দূরত্ব রেখে পরিচালনা করতে হবে। ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। মাস্ক পরা ছাড়া বাজারে অবস্থান করা যাবে না। তবে কোন জায়গায় আমরা মাছ বিক্রি করবো সেটা পৌরসভা থেকে দেখিয়ে দেয়নি। এ কারণে তারা ওই স্থানে মাছ বিক্রি করবে না দাবি করে বুধবার ও বৃহস্পতিবার সারাদিন মাছ বিক্রি বন্ধ রেখেছিলাম। গত বছর টাউন হল মাঠে আমাদের দোকান নিয়ে যাওয়া অনেক ক্ষতি হয়েছে। সেটা পুষিয়ে উঠতে পারিনি। আর খোলা জায়গায় দিলে ঝড়বৃষ্টিতে বেচাকেনা করা যাবে না। বৃহস্পতিবার মেয়রের সাথে আলোচনার মাধ্যমে শুক্রবার থেকে আবারও মাছ বিক্রি শুরু করার সিন্ধান্ত নিয়েছি। ব্যবসায়ীদের বলা হয় আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় রোড ও এর আশেপাশের রাস্তায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাছ বিক্রির জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।
বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মীর মোশারফ হোসেন বাবু বলেন, বড় বাজারের মাছ ব্যবসায়ীরা করোনা কমিটির শর্ত মেনে নিয়েছে। তারা মাছ বাজারের দোকান-পাট তুলে দিয়ে ১০ ফুট দূরত্ব রেখে আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় রোড ও এর আশেপাশের রাস্তায় মাছ বিক্রি করবেন। দোকানদার ও ক্রেতাদের সব মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া বাজারে স্বাস্থ্যবিধি মানছে কিনা জেলা প্রশাসনের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা ছাড়াও বাজার কমিটির স্বেচ্ছাসেবকেরাও কাজ করবে এই বিষয়ে।
No comments:
Post a Comment