তৃণমূলে দলীয় বিরোধ ঘোঁচাতে আলোচনাতেই সমাধান খুঁজছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। সমাধানও মিলছে ভালোই। বিবাদমান পক্ষগুলোও এতে খুশী।
আলোচনাতে সমাধান না মিললে কঠোর ব্যবস্থা নিতেও দ্বিধাবোধ করা হবে না বলে জানিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় কমান্ড।
সম্প্রতি কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা- উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। বিবাদ এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে সংসদ সদস্যকে উপজেলা সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেয় কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ। সমস্যা সমাধানে বিবাদমান দুই পক্ষকে ঢাকায় ডেকে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির কার্যালয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রের দুই নেতা। ফলাফল হাসিমুখে দুই জনের কুশল বিনিময়।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, 'জেলা বা উপজেলা যেখানেই নেতাকর্মীদের মধ্যে সমস্যা রয়েছে সে বিষয়ে তাদের সঙ্গে বসেই সমাধান করে আমরা দলকে আরও সুসংগঠিত করবো বলেই এই পদক্ষেপ নিয়েছি।'
কেন্দ্রের নেতাদের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বিবাদমান দুই পক্ষই। তৃণমূল নেতারা জানান, অত্যন্ত আনন্দচিত্তে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যে নির্দেশ তা মেনে নিয়েছেন। তৃণমূল আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার জন্য এটি অনেক ভালো কাজ করবে বলেও মনে করেন তারা।
শুধু কক্সবাজারই নয়, বিবাদ থাকলে ক্রমান্বয়ে সকল জেলা-উপজেলার নেতৃবৃন্দকেই ডাকা হবে। প্রথমে আলোচনা, এতে সমাধান না মিললে কঠোর ব্যবস্থা। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, 'এমন অনেক সমস্যা থাকে যেগুলো বড় সভা করে আলোচনা করা সম্ভব হয়না এবং সমাধানও হয়না। এজন্য ছোট পরিসরে আলোচনা হলে তারা মন খুলে কথা বলতে পারেন, একে অপরের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ বা কষ্ট রয়েছে তা সহজে বলতে পারেন। সম্মিলিত প্রচেষ্টা করতে হবে। পাশাপাশি কঠোর ব্যবস্থাও নেয়া হবে, কারণ ঔষধে কাজ না হলে সার্জারি তো করতেই হবে।'
চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দকে ডেকে নিজেদের মধ্যে বিরোধ নিরসনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তৃণমূলকে শক্তিশালী করতে তা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান কেন্দ্রীয় নেতারা।
No comments:
Post a Comment