যশোরের উপশহরে এহসানুল হক ইমু হত্যা মামলায় বিপ্লব হোসেন বাবুকে আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এসময় তার কাছ থেকে হত্যাকা-ে ব্যবহৃত বার্মিজ চাকু ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। আটক বিপ্লব হোসেন বাবু যশোর শহরের পুরাতন কসবা বিবি রোডের ফারুক হোসেন শিরুর ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, উপশহর এলাকার সৈয়দ ইকবাল হোসেন ইকুর ছোট ছেলে এহসানুল হক ইমু। ইমু তার পিতার সাথে বিভিন্ন ধরনের পুরাতন ও নতুন বিল্ডিং ক্রয়ের পর ভেঙ্গে বিক্রয় করেন। গত ২১ জুন সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে শিশু হাসপাতালের সামনে রয়েলের চায়ের দোকানে চা পান করছিলেন। এরই মধ্যে দুর্জয় নামে এক যুবক কয়েকজন সহযোগী নিয়ে এসে শাকিল নামে আরেক যুবককে মারপিট শুরু করে। ইমু বিষয়টি দেখে তাদের ঠেকানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু দুর্জয়ের সাথে থাকা এক যুবক মারামারি ঠেকানো অবস্থায় ইমুকে ধমক দেয়। এসময় ইমু ওই যুবককে একটি থাপ্পড় মারেন।
এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে দেখাচ্ছি বলে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর তিনটি মোটরসাইকেল ও দুইটি ইজিবাইকে বেশ কয়েকজন একত্রিত হয়ে ফিরে এসে ইমুকে এলোপাতাড়ি ভাবে ছুরিকাঘাত করে। এসময় ইমুর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা চলে যায়। পরে অপরিচিত একটি ইজিবাইক চালক ইমুকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। রাত পৌনে ৯টার দিকে ইমু মারা যান।
ওইদিন রাতেই নিহতের পিতা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। কিন্তু মামলার পর থেকেই বিপ্লব হোসেন বাবু পলাতক ছিল। গতকাল বাবুকে পুলিশ আটক করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ইমু হত্যাকা-ে ব্যবহৃত বার্মিজ চাকু বাবুর বাড়ি থেকে এবং চৌগাছা থেকে ওই হত্যাকা-ে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে পুলিশ। গতকাল সোমবার বাবুকে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
No comments:
Post a Comment