যশোর মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে মাহফুজুর রহমান হত্যা মামলার তিন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। সোমবার যশোরের পৃথক তিনটি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি শেষে তাদের জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন বিচারক। একই মামলায় আটক অপর ১১ আসামিকে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
জবানবন্দি দেয়া তিনজন হলো, যশোর শহরের নীলগঞ্জ সাহাপাড়ার আব্দুর রশিদ মিয়াজির ছেলে রেজাউল করীম রানা, চৌগাছা উপজেলা শহরের বিশ্বাসপাড়া (মাঠ চাকলা) এলাকার মশিয়ার রহমানের ছেলে রিয়াদ ওরফে ফরহাদ ও ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের মৃত সাবদার রহমানের ছেলে শাহিনুর রহমান।
এই মামলায় রিমান্ড চাওয়া ১১ আসামি হলো, প্রতিষ্ঠানের দুই পরিচালক যশোর শহরের বারান্দ মোল্যাপাড়া এলাকার আবুল হাশেমের ছেলে মাসুদ করিম ও বারান্দীপাড়া বটতলা এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে আশরাফুল কবির, একই এলাকার নাসির উদ্দিনের ছেলে আরিফুজ্জামান, শহরের পুরাতন কসবার বাসিন্দা কামরুজ্জামানের ছেলে ওয়াহিদুজ্জামান, সদর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে অহিদুল ইসলাম, যশোর শহরের বকচর হুশতলা এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে আল শাহরিয়ার রোকন, বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক এলাকার এসএম জি মুক্তাদির ছেলে এসএস সাগর আজিজ, শহরতলীর শেখহাটি হাইকোর্ট মোড় এলাকার মৃত ফজর আলীর ছেলে নুর ইসলাম, বেনাপোল পোর্ট থানার শাখারীপোতা গ্রামের মুকুল হোসেনের ছেলে ইসমাইল হোসেন, অভয়নগর উপজেলার বুইকারা গ্রামের আসর আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম এবং সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার বামখালী গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে ওয়াহিদুজ্জামান ওরফে সাগর।
আটক রেজাউল করীর রানা জানিয়েছেন, মাহফুজুর রহমানকে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করার পর থেকেই বিভিন্ন লোকজনের উপর চড়াও হয়। সে কারণে মাঝে মধ্যে তাকে মারপিট করা হতো। ঘটনারদিন ২২ মে ভোরে তেমনটি শুরু করেন। পরে তারা একত্রিত হয়ে মাহফুজুর রহমানকে বেধড়ক মারপিট করে। একপর্যায় সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তার গায়ে মুখে পানি ঢালা হয়। এরপর তাকে তার বেডে রেখে আসে। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়লে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এরপর নিহতের পিতার দায়ের করা মামলায় ওই ১৪ জনকেই আসামি করা হয়। গতকাল সোমবার তাদের সকলকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর মধ্যে তিনজনে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আর বাকি ১১ জনকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা চাঁচড়া ফাঁড়ি ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক রোকিবুজ্জামান।
No comments:
Post a Comment