অধিক সংক্রমণ ঠেকাতে ও সংক্রমিতদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছে যশোর জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি। আগামী এক সপ্তার মধ্যে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চালু হচ্ছে আইসিইউ ইউনিট। সরকারি কোনো বরাদ্দে নয়-করোনা প্রতিরোধ কমিটি সদস্য ও জনপ্রতিনিধিদের অর্থায়নে ভেন্টিলেটর মেশিনের জন্য প্যাসেন্ট মনিটর ও ইনফিউশন পাম্প কিনে ইউনিটটি চালুর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।শনিবার দুপুরে স্থানীয় সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান।
যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১১ শয্যার আইসিইউ ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। সংযোজন করা হয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ আটটি ভেন্টিলেটর মেশিন। কিন্তু ভেন্টিলেটর মেশিন সচল করতে প্যাসেন্ট মনিটর ও ইনফিউশন পাম্প সরকার সরবরাহ করেনি। ফলে ইউনিট চালু করা সম্ভব হয়নি। গত ৩ এপ্রিল আইসিইউ চালু করার জন্য ২২টি উপকরণ ও মেশিন চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চাহিদাপত্র প্রেরণ করেছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার দিলীপ কুমার রায়। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জঠিলতায় এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
শনিবার জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে স্থানীয়ভাবে যন্ত্রগুলো কিনে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ইউনিটটি চালু করার। এক্ষেত্রে কয়েকজন জনপ্রতিনিধি এবং পুলিশ সুপার ব্যক্তি উদ্যোগে সহযোগিতা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আশা করা হচ্ছে এক সপ্তার মধ্যে আইসিইউ ইউনিট চালু করা সম্ভব হবে। সভায় উপস্থিত কমিটির সদস্য সচিব ও সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহীন গ্রামের কাগজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন জানান, কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংক্রমণ ও জনসমাগম কমাতে যশোরের কাঁচাবাজারগুলো সম্প্রসারণ করা হবে। বড়বাজারের সবজি বিক্রির স্থান কালিবাড়ি থেকে খালধার রোড অভিমুখে রাস্তার পাশে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর সবজি বাজার ফাঁকা হওয়ার পরে সেখানে মাছ বাজার স্থানান্তর করা হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক হুসাইন শওকত, যশোর পৌরসভায় মেয়র হায়দার গণি খান পলাশ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন শিকদার, মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন প্রমূখ।
No comments:
Post a Comment