চলমান ভৈরব খননের মাটিকে পুঁজি করে ঠিকাদার নিযুক্ত লোকজন ও দালাল চক্রের মধ্যস্থতায় যশোরের ডাকাতিয়ায় একের পর এক পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। পুকুরের আয়তন অনুযায়ী ১০ হাজার টাকা থেকে দেড় লাখ টাকার চুক্তি পর্যন্ত করে ভরাট কার্যক্রম চলছে।
পরিবেশে আইন লংঘন করে ওই এলাকা পুকুর শুন্য করা হচ্ছে। এছাড়া তালিকায় রয়েছে আরো অনেক পুকুর। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে ভৈরবের বালি কাঁদা মাটি তুলে পুকুরগুলো ভরাটের কাজ। এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপ জরুরি।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন উপেক্ষা করে যশোরের শহরতলী ডাকাতিয়া এলাকায় ভৈরব নদের অদুরে থাকা পুকুরগুলো একে একে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। সুবিধাবাদী পুকুর মালিকগন বিকল্প মুনাফার আশায় ভৈরব নদের মাটি কিনে ভরাট করে চলেছে। সরেজমিনে ডজন দুয়েক পুকুর ভরাট হওয়ার প্রমাণ মিলেছে। এক সময়ের বড় পুকুর, যেখানে মাছ চাষ হত, পাড়া-মহল্লার শ’শ’ মানুষ নানাভাবে উপকার পেতেন। আজ তাদের বঞ্চিত করে পুকুর ভরাট করে সমতল ভূমি বানানো হচ্ছে। নানা অপকৌশলে পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। পরিবেশ সমুনত রাখা ও সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের স্বার্থে পুকুর ভরাট বন্ধের দাবি উঠেছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন উপেক্ষা করে যশোরের শহরতলী ডাকাতিয়া এলাকায় ভৈরব নদের অদুরে থাকা পুকুরগুলো একে একে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। সুবিধাবাদী পুকুর মালিকগন বিকল্প মুনাফার আশায় ভৈরব নদের মাটি কিনে ভরাট করে চলেছে। সরেজমিনে ডজন দুয়েক পুকুর ভরাট হওয়ার প্রমাণ মিলেছে। এক সময়ের বড় পুকুর, যেখানে মাছ চাষ হত, পাড়া-মহল্লার শ’শ’ মানুষ নানাভাবে উপকার পেতেন। আজ তাদের বঞ্চিত করে পুকুর ভরাট করে সমতল ভূমি বানানো হচ্ছে। নানা অপকৌশলে পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। পরিবেশ সমুনত রাখা ও সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের স্বার্থে পুকুর ভরাট বন্ধের দাবি উঠেছে।
তথ্য মিলেছে, ডাকাতিয়া দক্ষিণপাড়ার শহর আলী সরদার নায়েব, মৃত কোবাদ আলী সরদারের ছেলেরা, ডাক্তার ফজলুর রহমান, মিলন মাস্টার, মাওলানা আতিয়ার রহমানের ছেলে মিরাজ তাদের পুকুরগুলো ভরাট করিয়ে নিচ্ছেন। এদের মধ্যে ডাক্তার ফজলুর রহমান প্রায় দেড় লাখ টাকার চুক্তিতে ঠিকাদার নিযুক্ত করে সাইড দেখাশুনাকারী মিজানুর রহমান ও ঠিকাদার নিযুক্ত প্রকৌশলী তুষারের মাধ্যমে তার বিশাল পুকুর ভরাট করিয়ে নিচ্ছেন। এছাড়া শহর আলী ১৬ হাজার টাকা, মৃত কোবাদ আলীর ছেলেরা ১০ হাজার টাকা, মিলন মাস্টার ৩০ হাজার টাকা ও মিরাজ ৫ হাজার টাকার চুক্তিতে মাটি ভরাট করাচ্ছেন। একইভাবে এর আগে মোটা অংকের টাকায় ডাকাতিয়ার কায়েম মোল্লা, জয়নাল আবেদীন, আব্দুর রশিদ, সোহেল রানা, আনোয়ার হোসেন, নুরুল ইসলাম ও মৃত নজিবুলের দুই মেয়ে তাদের পুকুর ভরাট করিয়ে নিয়েছেন। এদের মধ্যে মৃত নজিবুল ইসলামের মেয়ে মৃনা ও মোমেনা নগদ ২৬ হাজার টাকা দেন ঠিকাদার নিযুক্ত লোকজনকে।
এভাবে নদ খনন করে বিল তুলছেন ঠিকাদারিপ্রতিষ্ঠান আর ঠিকাদার নিযুক্ত লোকজন মাটি দিয়ে করছে বেশুমার ব্যবসা। এতে করে ওই এলাকা পুকুর শুন্য হতে চলেছে।
এদিকে, পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, এভাবে পুকুর ভরাট করা হলে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এ ধরনের কার্যক্রম বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০)-এর ধারা ৬ (ঙ) এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। যা একই আইনের ধারা ১৫ (১)-এর ক্রমিক ৮ অনুযায়ী দন্ডনীয় অপরাধ।
এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর যশোরের সহকারী পরিচালক হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন উপেক্ষা করে পুকুর ভরাট করা চলবে না। এ আইন উপেক্ষা করে যদি পুকুর ভরাট করা হয় তাহলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যে তথ্য বা অভিযোগ আসছে সে ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী তাওহীদুল ইসলাম গ্রমের কাগজকে জানিয়েছেন, নদ খননে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়া হয়েছে। পাউবো খনন বুঝে নেবে। কিন্তু কারো ব্যক্তিগত পুকুর ডোবা ভরাট ও অর্থবাণিজ্যের বিষয়ে তিনি অবগত নন। নদের কোনো অংশেই কাউকে বালি মাটি বিক্রি করার অনুমতিও দেয়া হয়নি। যে চক্রটি মানুষকে বোকা বানিয়ে ভরাটের নামে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ আসছে তাদের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সুত্রঃ গ্রামের কাগজ
No comments:
Post a Comment