কারো দানে পাওয়া নয়, এক সমুদ্র রক্ত আর অনেক ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতা। পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীনতার জন্য এতো বড় দাম দিতে হয়নি কোনো জাতিকে। এদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিও তাই সাধারণ ঘটনা নয়। আবেগ আপ্লুত জাতি এ মাহেন্দ্রক্ষণ উদযাপনের সবটুকু প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটে বুধবার চাঁদের হাট যশোর আয়োজিত স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে। সাধারণ কোনো অনুষ্ঠান ছিল না, এটি ছিল বিশাল এক কর্মযজ্ঞ। দেশের সবচেয়ে বড় ম্যুরাল হিসেবে স্বীকৃত যশোরের বকুলতলার বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালটি ইতিহাসের আরেক সাক্ষী হয়ে রইল।২৬ জন মুক্তিযোদ্ধার উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের পাদদেশে ১৯৭১টি মোমবাতি প্রজ্বালন করা হয়। স্বাধীনতার ৫০ বছরে ম্যুরাল সংলগ্ন সড়ক দ্বীপে ৫০ টি মশাল প্রজ্বালন এবং ভৈরব নদের পাড়ে ৭১টি ফানুস উড়িয়ে চাঁদের হাট যশোর মুক্তিযুদ্ধের প্রতিটি স্তরকে স্পর্শ করে। সেই সাথে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল সংলগ্ন রাজপথ সাজে চাঁদের হাটের এক ঝাঁক শিল্পী কলাকুশলীদের নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় বর্ণিল আল্পনায়।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন চাঁদের হাট সভাপতি ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল। স্বাগত বক্তৃতা করেন সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম। অতিথি ছিলেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, পৌর মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নুরজাহান ইসলাম নীরা ও এমইউ সি ফুডস লিমিটেড যশোরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শ্যামল দাস।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন বৃহত্তর যশোর জেলা মুজিব বাহিনী প্রধান আলী হোসেন মনি, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হারুন অর রশিদ, চাঁদের হাটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাকিব সরদার অপু প্রমুখ। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন চাঁদের হাটের তারকা মন্ডলীর সদস্য হাবিবুর রহমান মিলন।
দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন চাঁদের হাট শিল্পীবৃন্দ। এতে অংশ নেন পপি সরকার, রিয়া, অর্পিতা, রূপকথা, ঐশী, সৃষ্টি, দিশা, লাবন্য, অরিত্র, প্রজ্ঞা, অথৈ প্রমুখ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুমনা হেমব্রম ও পপি সরকার। অনুষ্ঠানের সহযোগিতায় ছিল জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, যশোর পৌরসভা ও এম ইউ সি ফুডস লিমিটেড।
No comments:
Post a Comment