যশোরে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবিতে ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করার ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় আটককৃতদের কাছ থেকে অস্ত্র-গুলি ও প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়। চাঁদা দাবিতে ব্যবসায়ীকে অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করার ঘটনায় তিনজনের নামে এবং অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় দুইজনের নামে কোতোয়ালি মডেল থানায় পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে।
আটককৃতরা হলো, নড়াইলের নড়াগাতি থানার খাসিয়াল গ্রামের মৃত খন্দকার মজিবুর রহমানের ছেলে খন্দকার মাহবুবুল হক সজল ও যশোরের নতুন উপশহরের ই-ব্লকের আব্দুল হকের ছেলে মনিরুজ্জামান বাবু ওরফে বেড়ে বাবু। এই মামলার পলাতক আসামি শহরের আশ্রম মোড়ের আব্দুল জলিলের ছেলে আশরাফুজ্জামান রাজন। এর মধ্যে সজল ও বেড়ে বাবু অস্ত্র মামলায় এবং ওই দুইজনসহ রাজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা করা হয়েছে।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, তিনি সদর উপজেলার হাশিমপুর বাজারে আলমগীর হোসেন ট্রেডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান খুলে ব্যবসা করেন। দীর্ঘদিন ধরে তার কাছে আসামিরা চাঁদা দাবি করে আসছে। আর চাঁদার টাকা না দেয়ায় আলমগীর হোসেনকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। গত ৩ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে ব্যবসায়ীক প্রয়োজনে আলমগীর হোসেন যশোর শহরের উদ্দেশ্যে রওনা করে হাইকোর্ট মোড়ে পৌছানো মাত্র আসামিরা তার পথরোধ করে পূর্বের দাবিকৃত দুই লাখ টাকা চাঁদা চায়। এসময় চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় আসামিদের কাছে থাকা শর্টগান ও পিস্তল দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করার চেষ্টা করে। এসময় আলমগীর হোসেন দৌড়ে পাশেই নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে যান। আসামিরা তার পিছু নিয়ে সেখানে গিয়েও তাকে গুলি করার চেষ্টা করে। এসময় আশপাশের লোকজন ছুটে এলে ওই সন্ত্রাসীরা হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এই ঘটনায় এদিনই ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে খন্দকার মাহবুবুল হক সজল, নতুন উপশহরের ই-ব্লকের মনিরুজ্জামান বাবু ওরফে বেড়ে বাবু ও শহরের আশ্রম মোড়ের আব্দুল জলিলের ছেলে আশরাফুজ্জামান রাজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন।
পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতেই শহরের জজ কোর্টের মোড় থেকে খন্দকার মাহবুবুল হক সজলকে আটক করে। এসময় তার কাছ থেকে একটি ১২ বোর শর্টগান, একটি ম্যাগজিন, ৬টি কার্তুজ, অস্ত্রের লাইসেন্স ও (ঢাকা-মেট্রোÑভ-১১-১৩৯১) একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়। এরপরে আটক করা হয় যশোরের নতুন উপশহরের ই-ব্লকের মনিরুজ্জামান বাবু ওরফে বেড়ে বাবুকে।
অস্ত্র-গুলি উদ্ধারের ঘটনায় খন্দকার মাহবুবুল হক সজল, নতুন উপশহরের ই-ব্লকের মনিরুজ্জামান বাবু ওরফে বেড়ে বাবুর বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে থানায় আরেকটি মামলা করেছে। ভুক্তভোগী আলমগীর হোসেন আলম সদর উপজেলার ঘুরুলিয়া গ্রামের উত্তরপাড়ার নূর আলী মোল্যার ছেলে।
No comments:
Post a Comment