যশোরে বৃদ্ধ মাকে ভরণ পোষণ না দেয়ায় অভিযোগে ডাক্তার ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার যশোর সদর উপজেলার হামিদপুর গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৭০) এ মামলা করেছেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে আসামিদের প্রতি সমন জারির আদেশ দিয়েছেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দীন হোসাইন। আসামিরা হলেন, বাদীর মেজো ছেলে ডাক্তার মুসলিম আলী ও তার স্ত্রী ডাক্তার সাবিয়া সুলতানা।
বর্তমানে তারা দুইজনেই সিলেট জেলা সদরের আপন গুলজার টাওয়ারে বসবাস করেন। একই সাথে তারা কিং ব্রিজের সামনের ইবনে সিনা হোমিও সেন্টারে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেন।
বাদী মামলায় উল্লেখ করেছেন, ২০১৮ সালের ২০ ডিসেম্বর তার স্বামী সিরাজুল ইসলামের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর তিনি অসহায় হয়ে পড়েন। কিন্তু তার মেজো ছেলে ডাক্তার মুসলিম ও তার স্ত্রী দুজনেই বিত্তবান। তারা বর্তমানে সিলেটে থাকেন। মুসলিমের দুইটি চেম্বার রয়েছে। সেখানে নিয়মিত রোগী দেখেন এবং ওষুধ বেচাকেনা করেন। প্রতিমাসে লাখ টাকা আয় করেন। কিন্তু মায়ের কোনো খোঁজ খরব নেয় না। ভরণ পোষণ চাইলেও দেয় না। মোবাইলে ফোন দিলে কল রিসিভ করেন না। এমনকি ফোন নাম্বার ব্লক করে রাখে।
মামলায় আরো উল্লেখ করেন, বাদীর অন্য ছেলেদের অবস্থাও বেশি ভাল নয়। মেয়েরা থাকে শ্বশুর বাড়ি। বাদী বর্তমানে শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ। অনাহারে, অর্ধহারে ও বিনা চিকিৎসায় দিন কাটালেও ছেলে তাকে ভরণ পোষণ দিচ্ছেন না। ফলে বাধ্য হয়ে তিনি আদালতে মামলা করেন। বিচারক তাদের স্বামী-স্ত্রী দুইজনকেই আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারির নির্দেশ দিয়েছেন।
No comments:
Post a Comment