এগ্রোটেকের ফিড খেয়ে মুরগির মৃত্যু: দেড় মাসেও ক্ষতিপূরন পায়নি খামারীরা - Jashore Tribune

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad

as

a1

Thursday, February 11, 2021

এগ্রোটেকের ফিড খেয়ে মুরগির মৃত্যু: দেড় মাসেও ক্ষতিপূরন পায়নি খামারীরা

 


দেড় মাস অতিবাহিত হলেও যশোরের কেশবপুরে এগ্রোটেক কোম্পানির পোল্টির ফিড খেয়ে মৃত্যু মুরগির খামারীরা কোন ক্ষতিপূরণ পায়নি। ঘটনায় পর বিষয়টি নিয়ে তোড়পাড় সৃষ্টি হলেও বর্তমানে তা ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে। ফলে লাখ লাখ টাকা পুঁজি হারিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটছে খামারীদের।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে, এগ্রোটেক কোম্পানির পোল্টির ফিড খেয়ে ২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর কেশবপুর ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার প্রায় ২২জন খামারীর হাজার হাজার মুরগির মৃতু হয়। ৩১ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত খবর বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হলে ২ জানুয়ারি উপজেলা প্রানি সম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ডা: অলোকেশ কুমার সরকারের নেতৃত্বেএকটি টিম গাজী পল্টি ফার্ম সহ আশপাশের কয়েকটি পোল্ট্রি ফার্ম সরোজমিনে পরিদর্শনে যান। এ সময় তারা ঘটনার সত্যতা পান এবং বিভিন্ন তথ্য ও আলামত সংগ্রহ করেন।

ওই দিনই কেশবপুর প্রানি সম্পদ অফিসার ডা: প্রকাশ চন্দ্রমন্ডল ক্ষতিগ্রস্থ খামারিদের সাথে কথা বলেন এবং এগ্রোটেক কোম্পানি ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। ওই দিনই ক্ষতিগ্রস্থ খামারীদের পক্ষে গাজী পোল্ট্রি ফার্মের সত্ত্বাধিকারী আছির উদ্দিন গাজী কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ করেন । এর পরপরই কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে আওয়ালগাঁতী বাজারের এগ্রোটেক কোম্পানি ডিলার ভাই ভাই এন্টার প্রাইজের স্বত্বাধিকারী মিজানুর রহমানকে ১০ হাজার এবং রুবাইয়া পোল্ট্রি ফিডের স্বত্বাধিকারী আবুল কালামকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ ঘটনার পর কেশবপুর ও তার পার্শ্ববর্তী সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা এলাকার এগ্রোটেক কোম্পানির সব ডিলার ওই ফিড বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে।

এদিকে এগ্রোটেক কোম্পানীর ফিড খেয়ে হাজার হাজার মুরগীর মৃত্যুর দেড় মাস অতিবাহিত হলেও ক্ষতিপূরণ পায়নি পোল্ট্রির খামারীরা। এখনো এগ্রোটেক কোম্পানীর কোন প্রতিনিধি খামারীদের সাথে যোগাযোগ করেনি। এমনকি পোল্ট্রি মৃত্যুর ঘটনার পরপর এগ্রোটেক কোম্পানীর বিভাগীয় অফিসার শরিফুল ইসলাম নিজের পরিচয় লুকিয়ে বিভিন্ন খামারে যান। তিনি নিজেকে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির যশোরের ডিলার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন খামার থেকে অবশিষ্ট ফিড কৌশলে নিয়ে আসেন।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে এগ্রোটেক কোম্পানীর বিভাগীয় অফিসার শরিফুল ইসলাম তাদের ফিড খেয়ে মুরগির মৃত্যুর বিষয়টি এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, রাণীক্ষেত রোগে পোল্ট্রির মৃত্যু হতে পারে।

কেশবপুর প্রানি সম্পদ অফিসার ডা: প্রকাশ চন্দ্রমন্ডল বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে বিভিন্ন খামারীদের সাথে কথা বলে একটি প্রতিবেদন করে জেলা অফিসে পাঠানো হয়েছে।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad