আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য যশোর পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। শুক্রবার সকালে রিটার্নিং অফিসার তার কার্যালয়ে এই প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। এদিন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী হায়দার গনি খান পলাশের পক্ষে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান মিন্টু ও অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান মুকুলসহ অন্যান্যরা নৌকা প্রতীক গ্রহণ করেন। তবে, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মারুফুল ইসলামের মনোয়নপত্র বাতিলের হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের চিঠি রিটার্নিং অফিসারের কাছে নির্ধারিত সময়ে না আসায় তাকে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়নি। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান রিটার্নিং অফিসার হুমায়ুন কবির। সর্বশেষ সন্ধ্যায় রিটার্নিং অফিসারের পক্ষ থেকে বিএনপি প্রার্থী মারুফুল ইসলামকে ডেকে ধানের শীষ দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সাবেক এই মেয়র।
দিন নয়টি সাধারণ ওয়ার্ডে প্রতীক পেয়েছেন ৫২ কাউন্সিলর প্রার্থী। এছাড়া,সংরক্ষিত ওয়ার্ডের আট কাউন্সিলর প্রার্থীকেও দেয়া হয়েছে প্রতীক।
১ নম্বর ওয়ার্ডে সাহিদুর রহমান পাঞ্জাবি, জাকির হোসেন রাজিব উটপাখি, জাহাঙ্গীর আহমেদ শাকিল গাজর ও টিপু সুলতান পানির বোতল প্রতীক পেয়েছেন।
২ নম্বর ওয়ার্ডে শেখ রাশেদ আব্বাস রাজ পেয়েছেন পানির বোতল, মীর মোশাররফ হোসেন পাঞ্জাবি, শেখ সালাউদ্দিন আহমেদ ডালিম, জাহিদুল ইসলাম উটপাখি,তপন কুমার ঘোষ টেবিল ল্যাম্প, অনুব্রত সাহা ব্রিজ এবং ওসমানুজ্জামান চৌধুরী পেয়েছেন গাজর।
৩ নম্বর ওয়ার্ডে ছয় প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে শেখ মোকছিমুল বারী পেয়েছেন গাজর, দেলোয়ার হোসেন টিটো ব্রিজ, উম্মে মাকসুদা মাসু টেবিল ল্যাম্প,ওমর ফারুক ডালিম, শফিকুল ইসলাম পানির বোতল ও সাব্বির মালিক পেয়েছেন উটপাখি প্রতীক।
৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতীক পেয়েছেন তিন কাউন্সিলর প্রার্থী। এদের মধ্যে জাহিদ হোসেন মিলন পেয়েছেন টেবিল ল্যাম্প, মঈন উদ্দিন উটপাখি ও মুস্তাফিজুর রহমান পেয়েছেন পানির বোতল।
৫ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর হতে লড়বেন সাতজন প্রার্থী। এদের মধ্যে হাবিবুর রহমান চাকলাদার টেবিল ল্যাম্প, হাফিজুর রহমান উটপাখি, রাজিবুল আলম ব্লাকবোর্ড, শাহাজাদা নেওয়াজ পাঞ্জাবি, মোকছেদুর রহমান ভুট্টো ব্রিজ, শরীফ আবদুল্লাহ আল মাসউদ ডালিম ও মিজানুর রহমান বাবলু পানির বোতল প্রতীক পেয়েছেন।
৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন পাঁচজন কাউন্সিলর প্রার্থী। এদের মধ্যে আলমগীর কবির সুমন পেয়েছেন পাঞ্জাবি,আজাহার হোসেন স্বপন টেবিল ল্যাম্প, আনিসুজ্জামান ব্রিজ, আশরাফুজ্জামান পানির বোতল ও আশরাফুল হাসান পেয়েছেন উটপাখি প্রতীক।
৭ নম্বর ওয়ার্ডে আটজন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে গোলাম মোস্তফা উটপাখি, শামসুদ্দিন বাবু পাঞ্জাবি, জুলফিকার আলী পানির বোতল, শাহেদ উর রহমান রনি টেবিল ল্যাম্প, শাহেদ হোসেন নয়ন ব্লাকবোর্ড, আবু শাহজালাল ডালিম, কামাল হোসেন ব্রিজ ও রবিউল ইসলাম রবি গাজর প্রতীক পেয়েছেন।
৮ নম্বর ওয়ার্ডে চার কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে সন্তোষ দত্ত পেয়েছেন ব্রিজ প্রতীক, মনিরুজ্জামান মাসুম ডালিম, প্রদীপ কুমার নাথ বাবলু উটপাখি এবং ওবাইদুল ইসলাম রাকিব পেয়েছেন টেবিল ল্যাম্প।
৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতীক পেয়েছেন আটজন কাউন্সিলর প্রার্থী। এদের মধ্যে আজিজুল ইসলাম ব্রিজ, শেখ নাসিম উদ্দীন পলাশ ডালিম, শেখ ফেরদৌস ওয়াহিদ টেবিল ল্যাম্প, শেখ শহীদ পাঞ্জাবি, খন্দকার মারুফ হোসাইন গাজর, আসাদুজ্জামান পানির বোতল, স্বপন কুমার ধর উটপাখি ও আবু বক্কর সিদ্দিক ব্লাকবোর্ড প্রতীক নিয়ে ভোটের প্রচারে নেমেছেন।
সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ডে নয়জন প্রার্থীর মধ্যে আয়েশা ছিদ্দিকা আংটি, আইরিন পারভীন চশমা, সুফিয়া বেগম কলস, রেহেনা পারভীন হারমোনিয়াম, রুমা আক্তার অটোরিকশা, সান-ই-শাকিলা আফরোজ আনারস, অর্চনা অধিকারী দ্বিতল বাস, সেলিনা খাতুন জবা ফুল ও রোকেয়া বেগম পেয়েছেন টেলিফোন প্রতীক।
২ নম্বর ওয়ার্ডে নাসিমা আক্তার জলি আনারস ও নাছিমা সুলতানা চশমা প্রতীক পেয়েছেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে শেখ রোকেয়া পারভীন ডলি আনারস ও সালমা আক্তার রানি পেয়েছেন চশমা।
তবে, নির্বাচন স্থগিত হওয়ার পরও প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে কীভাবে-এই প্রশ্নের জবাবে রিটার্নিং অফিসার হুমায়ুন কবির বলেন, স্থগিতাদেশের বিষয়ে কোনো চিঠি তারা পাননি। এ কারণে তফসিল অনুযায়ী সবকিছু চলছে।
No comments:
Post a Comment