যশোর শহরের রেলবাজারে লাগামহীন চাঁদাবাজির ঘটনায় জাফর নামে এক সন্ত্রাসীকে ধরে পিটুনি দিয়েছেন স্থানীয়রা। এঘটনায় বুধবার বিকেলে এলাকার শত শত ব্যবসায়ী রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান।খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক)সার্কেল গোলাম রব্বানী, কোতয়ালী থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামানসহ পুলিশের কয়েকটি টিম ঘটনাস্থলে যান। পরে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে- এমন আশ্বাসের ভিত্তিতে পরিস্থিতি বিক্ষোভ থামে।
রেলবাজারের মুদি দোকানি হায়দার আলী, চাল ব্যবসায়ী লিটন, কলার আড়তদার মিজান ও তাইজুলসহ ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, তারা রেলবাজারে সব ধরনের ব্যবসায়ীরা একই এলাকার সন্ত্রাসী মেহেদি ও জাফরসহ ৭-৮ জনের একটি গ্রুপের হাতে জিম্মি হয়ে আছেন। এই সব চাঁদাবাজের হাতে সব সময় চাকু থাকে। প্রতি দোকান থেকে তাদের প্রত্যেকদিন চাঁদা দিতে হয়। ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না।
তারা জানান, চার দিন আগে মেহেদি ও জাফর রেলবাজারের ইজারাদার আব্বাসের কাছ থেকে ১৩ হাজার টাকা কেড়ে নেয় ছুরি ধরে। পরে রাজনৈতিক চাপের মুখে দশ হাজার টাকা ফেরতও দেয় জাফর ও মেহেদি। আজ বিকেলে কলার আড়তে টাকা আনতে যায় তারা। টাকা না দেওয়ায় এই দুই সন্ত্রাসী ছুরি বের করে কলার আড়তদার মিজানকে মারতে যায়। ওই সময় ব্যবসায়ীরা জাফরকে ধরে পিটুনি দিলেও মেহেদি পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থল থেকে যশোর জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক) সার্কেল গোলাম রব্বানী বলেন, ‘এসপি স্যারের নির্দেশ যশোরে কোনো সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ী থাকবে না। কোনো বাহিনীর নাম-নিশানা থাকলে তা মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়া হবে।’
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার আহম্মেদ তারেক শামস বলেন, গণপিটুনিতে আহত জাফরকে হাসপাতালে ভর্তি করে সার্জারি ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।
কোতয়ালী থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এখন রেলবাজার এলাকার পরিবেশ শান্ত। সব ধরনের চাঁদাবাজদের আটক করে আইন আমলে আনা হবে।
No comments:
Post a Comment