অনুমোদনহীন বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে যশোর স্বাস্থ্য বিভাগের। এরই ধারাবাহিকতায় বহুল বিতর্কিত স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান নাভারণের সাতক্ষীরা মোড়ে অবস্থিত ল্যাবজোন ডায়াগনস্টিক এন্ড ডক্টরস চেম্বার বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। রোববার দুপুরে অভিযান চলাকালে ল্যাবজোন ডায়াগনস্টিক কর্তৃপক্ষ অনুমোদনের কোনো প্রমাণপত্র দেখাতে পারেনি। ক্লিনিকে কোনো চিকিৎসকতো দূরের কথা, নিবন্ধিত কোনো সেবিকাও ছিল না। নোংরা প্যাথলজি কক্ষে টেকনোলজিস্ট হিসেবে যিনি ছিলেন তারও কোনো অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতি ছিল না। অথচ তিনি দিব্যি রোগীদের প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ভুয়া রিপোর্ট প্রদান করছেন। এসব অভিযোগে স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করা হয়।
এ সকল প্রতিষ্ঠানের দালালের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত হচ্ছেন রোগীরা। সরকার স্বাস্থ্য খাতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার পর থেকে যশোরের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার তদারকিতে সক্রিয় স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য বিভাগ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানাসহ বন্ধ করে দিচ্ছে অবৈধ এসব প্রতিষ্ঠান।
সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন জানান, ছয় মাস আগে এই স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানটিকে সতর্ক করা হয়। কিন্তু এতো দিনেও তারা কোনো নিয়মের ভিতরে আসেনি। এসব কারণে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বেসরকারি ডায়াগনস্টিক বা হাসপাতাল পরিচালনা করতে গেলে বিধি মোতাবেক ৩৬ ধরনের চিকিৎসা সংক্রান্ত যন্ত্রপাতির থাকতে হবে। তিন-চারটি ছাড়া বলতে গেলে এসবের কিছুই নেই ল্যাবজোন ডায়াগনস্টিকে। অনুমোদনহীন এমন প্রতিষ্ঠান বন্ধে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের এমন অভিযান চলমান থাকবে। বৈধ কাগজ পত্র ছাড়া কোনো স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান চলতে দেয়া হবেনা।
অভিযানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইউসুফ আলী, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার রেহনেওয়াজ রনি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান।
No comments:
Post a Comment