যশোর সদর উপজেলার বড় বালিয়াডাঙ্গা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর কার্যালয়ের পিছনে একটি বাড়ী নির্মানকালে চিহ্নিত চাঁদাবাজরা হামলা চালিয়ে মারপিটসহ নগদ ৩ হাজার টাকা কেড়ে নিয়েছে। ঘটনার পরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন চাঁদাবাজকে একটি চাপাতি, মোটরসাইকেল ও তিনটি মোবাইল ও লুন্ঠিত চাঁদা স্বরুপ তিন হাজার টাকা উদ্ধার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা আসামীরা হচ্ছে, যশোর শহরের ঘোপ জেলরোড বেলতলার জনৈক আশসাক আলীর বাড়ির ভাড়াটিয়া মজিবার রহমানের ছেলে আইয়ূব আলী, সদর উপজেলার কিসমত নওয়াপাড়া জনৈক আজমের বাড়ির ভাড়াটিয়া মোশারেফ সরদারের ছেলে রুহুল আমিন ও যশোর শহরের ঘোপ বেলতলা বৌ বাজার কদম রসুলের বাড়ির ভাড়াটিয়া বীরেন মন্ডল ওরফে ববি মন্ডলের ছেলে কবির মন্ডল। এসময় তাদের সহযোগী শহরের ঘোপ জেল রোডের খলিল হোসেনের ছেলে জুয়েল হোসেন, নতুন উপশহর বি ব্লকের দাদন হোসেনের ছেলে জব্বার হোসেন ও ঘোপ জেলরোড বেলতলার আরিফ হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন পালিয়ে যায়।
বড় বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন বাদি হয়ে কোতয়ালি মডেল থানায় বুধবার বিকেলে মামলায় উল্লেখিত আসামীদের নাম দিয়ে বলেছেন, তিনি পেশায় একজন ড্রাইভার। উক্ত স্থানে একটি বাড়ি নির্মাণ করছে। বাড়ি নির্মানকালে উক্ত আসামীরা বেশ কয়েকদিন যাবত তার কাছে চাঁদা স্বরুপ ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। চাঁদাবাজদে দাবিকৃত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে চাঁদাবাজরা বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) দুপুর আড়াইটায় সাদ্দাম হোসেনের বাড়িতে চড়াও হয়। তারা তাদের দাবিকৃত ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চেয়ে মারপিট শুরু করে। এক পর্যায় সাদ্দাম হোসেনের পকেটে থাকা নগদ ৩ হাজার টাকা আইয়ূব আলী চাঁদা স্বরুপ কেড়ে নেয়। এ ঘটনার পর তাল বাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের এসআই মতিয়ার রহমানসহ একদল পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে উক্ত স্থানে অভিযান চালালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চাঁদাবাজরা দৌড়ে পালানোর চেষ্টার এক পর্যায় উল্লেখিত ৩ চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করে। বাকীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় চাঁদাবাজদের দখল হতে একটি চাপাতি, চাঁদা স্বরুপ লুন্ঠিত ৩ হাজার টাকা, চাঁদাবাজদের ব্যবহৃত ৩টি মোবাইল ফোন, একটি হ্যাং মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাদেরকে কোতয়ালি মডেল থানায় সোপর্দ করে। বৃহস্পতিবার গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment