যশোরে জান্নাতুল ফেরদৌস লাবন্য (১২) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থী অপহরনের অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন আসামীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শনিবার গভীর রাতে মামলা হয়।
অপহৃত কিশোরীর পিতা যশোর শহরের চোপদারপাড়া আনছার ক্যাম্পের পশ্চিম পাশের আব্দুর রহমান মোল্যার ছেলে বাবলু মোল্লা মামলা করেন।
আসামীরা হচ্ছে, যশোর শহরতলী নীলগঞ্জ সাহাপাড়ার মৃত রফিকের ছেলে মুন্না, চোপদারপাড়া আনছার ক্যাম্পের পশ্চিম পাশের্^ হাসান শিকদারের স্ত্রী মিতা বেগম ও একই এলাকার কবিরের স্ত্রী মোছাঃ নবীছা বেগমসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন।
বাবলু মোল্লা মামলায় উল্লেখ করেন, তার মেয়ে মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস লাবন্য যশোর এমএস টিপি স্কুলে ৬ষ্ট শ্রেনীতে লেখাপড়া করে। স্কুল বন্ধ থাকায় বাড়ি থেকে বেজপাড়ায় প্রাইভেট পড়ে। প্রাইভেট পড়তে আসা যাওয়ার সময় আসামী ও তার সহযোগীরা লাবন্যকে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিয়ের প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় তাকে অপহরনের হুমকী দেয়। গত ১০ ফেব্রুয়ারী শহরের বেজপাড়ায় প্রাইভেট পড়তে যায়। সেখান থেকে ফেরার সময় বেজপাড়া পিয়ারী মোহন রোডস্থ জনৈক সাবেক মেম্বার হিমু এর বাড়ির সামনে পৌছানো মাত্র ১নং আসামী ও তার সহযোগীদের সহায়তায় বিভিন্ন ভাবে প্রলোভন দিয়ে ইজি বাইকে তুলে অপহরণ করে নীলগঞ্জ এলাকার দিকে নিয়ে যায়। অপহরনের কালে স্থানীয় লোকজন ঠেকাতে গেলে ব্যর্থ হয়। পরে ১১ ফেব্রুয়ারী গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে লাবন্যকে আসামীদের হেফাজত থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। পরে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। লাবন্যর ডাক্তারী পরীক্ষা ও আদালতে সোপর্দ করে ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহনের প্রস্তুতি নিয়েছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
No comments:
Post a Comment