যশোর সদরে গেজেটভুক্ত ১৫৫ জনের মধ্যে ৮ জন অমুক্তিযোদ্ধা - Jashore Tribune

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad

as

a1

Sunday, January 31, 2021

যশোর সদরে গেজেটভুক্ত ১৫৫ জনের মধ্যে ৮ জন অমুক্তিযোদ্ধা

 


গত দুদিনে যশোর সদর উপজেলায় যাচাই বাছাইয়ের আওতায় আনা গেজেটভুক্ত ১৮৮ জনের মধ্যে ৮ জন অমুক্তিযোদ্ধা বলে প্রমাণিত হয়েছে। একই সাথে গেজেটভুক্ত ৩৩ জন মুক্তিযোদ্ধা বাছাই কমিটির সামনে হাজির হননি। মিথ্যা স্বাক্ষীতে ৬ মাসের ভাতা বন্ধের ঘোষণায় স্বাক্ষীর অভাবে ওই ৩৩ জনের মধ্যে বেশিরভাগই অনুপস্থিত। আর কয়েকজন দেশের বাইরে রয়েছেন।

ওই ৩৩ জনের ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন বাছাই কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আব্দুস সবুর হেলাল। বাছাই কমিটির সকল সদস্যের স্বাক্ষর সম্বলিত যাচাই বাছাইয়ের প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রস্তুতি চলছে।

২০১০ সালের আগ পর্যন্ত যেসব মুক্তিযোদ্ধা গেজেটভুক্ত হয়েছেন তাদের ব্যাপারে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল জামুকার পক্ষে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে নেতিবাচক নানা তথ্য যায়। অনেক মুক্তিযোদ্ধার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় সর্বশেষ মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে ২৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধাকে যাচাইয়ের আওতায় আনতে পত্র আসে যশোরে।
এ ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করে যশোর জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে পত্র প্রেরণ করে। সে মোতাবেক ২৩৫ জন গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার কাছে এই মেসেজ পৌঁছে দেয়া হয়। এর মধ্যে ৪৭ জনের ব্যাপারে জামুকার সুপারিশ থাকা, লাল মুক্তি বার্তায় নাম থাকায় তাদের বাদ রেখে সর্বশেষ ১৮৮ জনকে চিঠি দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়। ৩০ জানুয়ারি ও ৩১ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত যাচাই বাছাই কার্যক্রম চলে।
মন্ত্রণালয় ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের নির্দেশনা ও বাছাই বিধি মোতাবেক শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বাছাই সম্পন্ন করেছে গঠিত কমিটি।

যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আব্দুস সবুর হেলাল  জানিয়েছেন, ৩৩ জন হাজির হননি বাছাই বোর্ডের সামনে। এছাড়া স্বাক্ষী প্রমাণ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপনে ব্যর্থ হওয়া ও ৩৩ প্রকার কেটাগরির প্রশ্নে সদুত্তোর দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ৮ জন গেজেটভুক্ত অমুক্তিযোদ্ধা বলে প্রমাণিত হয়েছেন। এছাড়া অনুপস্থিত ৩৩ জনের বেলায় ধরে নেয়া হচ্ছে তাদের বেশিরভাই অমুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় হাজির হননি। স্বাক্ষী যোগাড় করতে পারেননি তারা। কিছু গেজেটভুক্ত দেশের বাইরে বা  অসুস্থ থাকতে পারেন। ওই ৩৩ জনের ব্যাপারে মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এছাড়া ২০১৭ সালের বাছাইয়ে বাদ পড়া অনেকেই এবারের যাচাই বাছাইয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বলেও প্রমাণ মিলেছে।

এদিকে বাছাই কমিটিতে জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন বৃহত্তর যশোর জেলা মুজিব বাহিনী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেন মনি, যশোর-৩ সদর আসনের এমপি কাজী নাবিল আহমেদের মনোনীত তথা জামুকার প্রতিনিধি ছিলেন যশোর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজেক আহমেদ। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি তথা সদস্য সচিব ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান।

এ ব্যাপারে যশোর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কমিটির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান গ্রামের কাগজকে জানিয়েছেন, যাচাই তালিকায় আনা ১৮৮ জনের মধ্যে বেশিরভাগই উপস্থিত ছিলেন।  স্বচ্ছতার সাথে বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। কমিটির  সভাপতি ও সদস্যরা মিলে আজ এ ব্যাপরে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করবে। মন্ত্রণালয় যাচাই বাছাই কার্যক্রমের ফলাফলের উপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad