ফেসবুকে স্ট্যাটাসে সাড়া দিলেন যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান। তিনি শনিবার সদর উপজেলার জগহাটি গ্রামের বাগদি সম্প্রদায়ের (মৎস্যজীবী) ১১০ পরিবারে কম্বল বিতরণ করেছেন। এর আগে শুক্রবার সাংবাদিক সাজেদ রহমান এই সংক্রান্ত ছবিসহ একটি স্ট্যাটাস ফেসবুকে দেন।
কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রফিকুল হাসান, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের (জেইউজে) সাবেক সভাপতি সাজেদ রহমান বকুল, চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান মুন্না, ইউপি সদস্য আনিসুর রহমান, সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, এনামুল কবির, আওয়ামী লীগ নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের, ইসহাক আলী গাজী, যুবলীগ নেতা আজাদুল করিম আজাদ প্রমুখ।
শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) যশোরের সাংবাদিক সাজেদ রহমান বকুল তার ফেসবুক পেজে জগহাটি গ্রামের অসহায় বাগদি সম্প্রদায়ের মানুষের শীতের কষ্ট তুলে ধরে ছবিসহ স্ট্যাটাস দেন।
স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন ‘যশোর সদরের জগহাটি বাওড়। তার পাশে বসবাস করেন ১১০টি বাগদী পরিবার। পরিবারের সদস্য সংখ্যা প্রায় আড়াইশ’। এঁরা মাঠে কাজ করেন, পুরুষ এবং নারী মিলে। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক তাদের দারুণ। এদের আগে পেশা ছিল মাছ ধরা। সেটা এখন কমে গেছে। এই শীতে তারা ভীষণ কষ্টে আছেন। আমি গিয়েছিলাম গত বুধবার তাদের দেখতে। বাগদী (দ্রাবিড়-বংশোদ্ভুত এই জাতিগোষ্ঠীর প্রধান বাসস্থান পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ) সম্প্রদায়ের নারীরা বাওড়ের পাশে কাঠ জ্বালিয়ে দেখি আগুন পোহাচ্ছেন। এতো সহজ-সরল মানুষ এই দেশে বাস করেন তা না দেখলে বোঝা যায় না। ইতিহাস বলে, এই বাগদী সম্প্রদায়ের মধ্যে ধর্ষণ, নারী নির্যাতনসহ অন্যান্য ঘটনা প্রায় নেই বললেই চলে। এটা তারা প্রকৃতি থেকে পেয়েছেন। শীতে তাদের কম্বল দরকার।’
সাংবাদিকের স্ট্যাটাস দেখে জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলামের নির্দেশে বাগদি সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য কম্বল বরাদ্দ দেন। শনিবার বিকেলে তিনি নিজেই জগহাটি গ্রামে গিয়ে কম্বল বিতরণ করেন। এসময় ভূমিহীন অসহায় মানুষ জমি বরাদ্দ ও বাড়ি নির্মাণের দাবি জানান। এসময় জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খোঁজখবর নিয়ে পরবর্তীতে পদক্ষেপ গ্রহণের আশ^াস দেন।
No comments:
Post a Comment