যশোরে এক নারীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তার সাথে বিভিন্ন ধরনের ছবি তুলে দুই লক্ষ টাকা দাবি করেছেন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ভাইপো রাকিব। এই ঘটনায় রাকিবের দুই সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ। গত বুধবার রাতে শহরের চাঁচড়ার রায়পাড়ায় এই ঘটনার পর ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে সন্ত্রাসী ভাইপো রাকিব ও তার সহযোগী আটক দুইজনসহ চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছেন। আটককৃতরা হলো, রায়পাড়ার জাকির হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া তৈয়ব আলীর ছেলে চিহ্নিত সন্ত্রাসী সাব্বির হোসেন ও খালধার রোড নাথপাড়ার নিমাই চন্দ্র সাহার ছেলে নয়ন চন্দ্র সাহা।
এই মামলার পলাতক আসামি শহরের শংকরপুর পশু হাসপাতাল এলাকার কাজী তৌহিদের ছেলে রাকিব ওরফে ভাইপো রাকিব এবং শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার কাঠ হারুনের ছেলে মামুন ওরফে ল্যাটা মামুন ওরফে ভাগ্নে মামুন।
বাদী শহরের চাঁচড়া রায়পাড়া এলাকার বাসিন্দা। প্রধান আসামি ভাইপো রাকিবের সাথে স্থানীয় লোক হিসেবে পরিচিত। তার সাথে মোবাইল এবং মেসেঞ্জারে কথা বলতেন বাদী। সেই সুযোগে ভাইপো রাকিব ওই নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ছবি মোবাইল ফোনে ধারণ করে। এরপর নারীর কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে রাকিব। আর চাঁদার টাকা দিকে অস্বীকার করায় তাকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা এবং পরিবারের লোকজনদের হত্যার হুমকি এবং তার ছবি বিভিন্ন মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়। বাধ্য হয়ে চাঁদা স্বরুপ ৫/৬টি কিস্তিতে ওই নারী ৬০ হাজার টাকা দেন ভাইপো রাকিবকে। এরপর গত ৩০ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৭টার দিকে ভাইপো রাকিব ওই নারীকে মোবাইল ফোনে চাঁদার বাকি এক লাখ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে শংকরপুর পশু হাসপাতালের পাশে হাউজিং মাঠে যেতে বলে। সন্ত্রাসী রাকিবের কথামত রাত সোয়া ৮টার দিকে ওই নারী তার দুই বোনকে সাথে নিয়ে হাউজিং মাঠে যান। এসময় রাকিব ওই নারীকে বলেছে তোর যে ছবি গুলো আমার কাছে আছে আমার সহযোগী সবাই জানে। এখন তুই চাঁদার বাকি টাকা না দিলে তোকে খুন করাসহ ইন্টারনেটে ছবি গুলো ছেড়ে দিবো। এসময় ওই নারী রাকিবকে বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করা হলে রাতেই অভিযান চালিয়ে চাঁচড়া বাবলাতলা মোড় থেকে সাব্বির ও নয়নকে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবারে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment