যশোরের বসুন্দিয়ায় ‘অবৈধভাবে’ নির্মিত বরফ কলের গ্যাসে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। সদর উপজেলার বসুন্দিয়া মোড়ে গত রোববার সন্ধ্যা থেকে ওই গ্যাসের দুর্গন্ধে স্থানীয়দের নাভিঃশ্বাস ওঠে। এক পর্যায়ে ৯৯৯ এ কল করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বরফ কল মালিক গ্যাসের দুর্গন্ধ বন্ধ করেন।
এই ব্যাপারে স্থানীয়দের পক্ষ থেকে পরিবেশ অধিদপ্তর বরাবর অভিযোগ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি অভিযোগের বিষয়টি জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া মোড়ে একটি বড় বাজার রয়েছে। সেখানে প্রায় ২৪ ঘন্টাই প্রতিষ্ঠান খোলা থাকে। খুলনা, নড়াইল ও যশোরসহ দেশের বিভিন্নস্থানে যাতায়াতের জন্য বসুন্দিয়া মোড় থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে আলফা সিগারেট মিল, সরকারি বেসরকারি ৫/৬টি ব্যাংক, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ রয়েছে। এছাড়া জনবহুল এলাকা হওয়ায় এখানে অনেক মানুষের বসবাস।
জনবহুল এলাকায় বাজারের মধ্যেই সোনালী ব্যাংকের পাশে বছর দুয়েক আগে কওছার আলী বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি এই বরফ কল স্থাপন করেন। আবাসিক এলাকায় বরফ কল স্থাপনের সময় বাধা দেন পাশের বাড়ির মালিক রফিকুল ইসলাম বিশ্বাস। কিন্তু কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে কওছার আলী বরফ কলটি স্থাপন করেন। এই বরফ কল থেকে প্রায়শই অসহনীয় দুর্গন্ধ বের হয়।
এ ব্যাপারে গত বছরের ১০ জুন যশোর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরে অভিযোগও করা হয়। কিন্তু সাত মাস পার হলেও অজ্ঞাত কারণে ওই অভিযোগের ব্যাপারে তাদের কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়েনি।
সর্বশেষ গত রোববার সন্ধ্যা থেকে আবারো বরফ কল থেকে দুর্গন্ধযুক্ত গ্যাস বের হতে শুরু করে। দুর্গন্ধে স্থানীয়রা এবং বসুন্দিয়া মোড় বাজারের লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন।
সোমবার এ ব্যাপারে রফিকুল ইসলাম বিশ্বাস বাদী হয়ে যশোর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালকের দপ্তরে অভিযোগ দেন। পাশাপাশি অভিযোগে অনুলিপি দেয়া হয় জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে।
তবে ওই সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি জরুরী সেবা পেতে ৯৯৯ নম্বরে কল করে বিষয়টি অবহিত করেন। এরপর স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
এই ব্যাপারে যশোর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সাইদ আনোয়ার বলেছেন, দেড় মাস আগে আমি এখানে বদলি হয়ে এসেছি। এদিনের অভিযোগ পেয়েছি। আমি খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
No comments:
Post a Comment