যশোর শহরে প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রতি রাতে অবৈধ জুয়া খেলা ‘ক্যাসিনো’ চলছে। জুয়ার আসরে সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত জুয়া খেলায় দেশের বিভিন্ন স্থানের জুয়াড়িরা অংশ নিচ্ছে। আর এতে লাখ লাখ টাকা হাতবদল হচ্ছে। শহর ও শহরতলীতে এসব অবৈধ জুয়ার বোর্ড চলছে। জুয়া খেলায় অংশ নেওয়ার জন্য ধনাঢ্য জুয়াড়িরা আসছে দামি দামি গাড়িতে চড়ে।
এদিকে এজুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। অনেকে সর্বনাশা জুয়ায় অংশ নিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছে। শহরের বিমান অফিস মোড়ে একটি বাসায়, ধর্মতলার একটি বাড়িতে, আরএন রোডে একটি ক্লাবে, হাইকোর্ট মোড়, রেলস্টেশন ও নিউমার্কেট এলাকায় কিছু দিন ধরে ঘটা করে ওই জুয়া খেলা চললেও প্রভাবশালী জুয়া বোর্ডের মালিক আর প্রশাসনের অসৎ কর্মকর্তাদের কারণে এলাকাবাসী ভয়ে মুখ খুলতে পারছে না।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ঢাকার আলোচিত জুয়ার সম্রাট সম্রাটের জুয়ার পাটনার মনো যশোরে এসব আসর নিয়ন্ত্রণ করছে। সম্রাট গ্রেফতার হওয়ার পর মনো পালিয়ে যশোর চলে আসেন। এখানে এসে পুরানো স্বাভাব পাল্টাতে পারেননি। তিনি এখানে এসে নুনু, মেঝ ও রবিকে পাটনার হিসেবে নিয়ে ‘ওয়ান টেন’ নামের ওই জুয়া খেলার আয়োজন করেছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জুয়াড়িরা প্রাইভেটকার, পাজেরো জিপ ও বাস-ট্রেনে করে এখানে আসছে। আয়োজকরা জুয়াড়িদের আনার জন্য নিজস্ব পরিবহনের ব্যবস্থা করেছে।
জানা যায়, প্রতি রাতে এখানে কোটি টাকার জুয়া খেলা হয়। এর ভাগ চলে যায় স্থানীয় রাজনৈতিক কতিপয় নেতাসহ ওপর মহলে।
জুয়া খেলায় অংশ নেওয়া শফিকুল জানান, যশোরে প্রতি রাতে ওয়ান টেন খেলা হয়। সারা দেশ থেকে লোক আসে। যশোরে নিয়মিত জুয়ার আসর বসে। বিষয়টি সবাই জানে। এলাকায় তেমন কেউ নেই যে প্রতিবাদ করে। তারা প্রতিবাদ করলে বেঁচে থাকতে পারবেন না।
এদিকে, ওয়ান টেন জুয়ার কারণে এলাকার যুবকরা বিপথগামী হচ্ছে। অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
যশোর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, যশোরে অবৈধ জুয়ার কথা আমার জানা নেই। আমি খোঁজ-খবর নিয়ে জানাতে পারবো।
সুত্রঃ সামাজের কথা
No comments:
Post a Comment