যশোরের চাঁচড়ার ভাতুড়িয়া নারায়ণপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দু’ ভাইকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে চিহ্নিত প্রতিপক্ষরা। আশংকাজনক অবস্থায় তাদের যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে, হত্যাচেষ্টা ঘটনায় ওই এলাকার আটজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। হামলার ভিডিও ফুটেজ পুলিশের হাতে পৌঁছেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, ভাতুড়িয়া নারায়ণপুরের নুরুল ইসলাম ওরফে মোহরার ছেলে ইমরোজ হোসেন দু’ বছর আগে খুন হন। ওই ঘটনায় এই এলাকার এনামুল ইসলামের ছেলে নাজমুলের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়। ওই হত্যা মামলায় নাজমুল জেল খেটেও এসেছেন। সম্প্রতি তিনি জামিনে বের হয়েছেন।< >বুধবার সকালে নুরু মোহরার ছেলে ইসরাজুলের নেতৃত্বে ভাতুড়িয়া বাজারে হামলা চলে। নাজমুল ইসলাম ও তার বড়ভাই আকরামুলকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। তারা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা ছুটে এসে হাসপাতালে নিয়ে যান।
হত্যা চেষ্টার ঘটনায় ওই দিন সন্ধ্যায় যশোর কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দেন আহতদের মা আকলিমা বেগম। অভিযুক্তরা হচ্ছে নুরু মোহরার ও তার ছেলে ইসরাজুল, রফিকুল ইসলামের ছেলে আপন, মমিনুর রহমানের ছেলে ইমন, কবির হোসেন, তার ছেলে রাকিব হোসেন বাবু, রিপনের ছেলে ইমন, মৃত ইউনুস আলীর ছেলে ইকলাস হোসেনসহ অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জন। এই হত্যাচেষ্টা ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন ভূক্তভোগী দু’ জনের মায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্তরা সবাই চিহ্নিত। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। দ্রতই জড়িতরা আটক হবে।
চাঁচড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর রোকিবুজ্জামান জানিয়েছেন, অভিযোগ সত্য। নাজমুল ও আকরামুল হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে পরিষ্কার হয়েছে ওই ঘটনায় নুরু মোহরা ছেলে ও তার সহযোগীরা জড়িত। তাদের আটকে অভিযান চলছে।
এদিকে, থানার একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই হামলা ভডিও ফুটেজ পুলিশের হাতে এসেছে। ঘটনায় কারা জড়িত সব পরিষ্কার। মূলত ভাই খুনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ ছিল ইসরাজুল। সেই হত্যা মামলার আসামি নাজমুল জামিন পাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে সে।
No comments:
Post a Comment