কুমিল্লার হোমনায় সম্মেলন থেকে ফেরার পথে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের গাড়িবহরে হামলা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। এতে হোমনা যুবলীগের নবনির্বাচিত সভাপতি খন্দকার নজরুল ইসলামসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- রেজাউল করিম, মো. রাসেল,মাহমুদ বাপ্পি, জনি, শাকিল, মো. ফরিদ, মামুন, শরিফ ও লিটন। আহতদের বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে চিকিৎসা করা হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) হোমনা উপজেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে ঢাকায় ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী যুবলীগ নেতারা জানান,যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী লায়ন শাহ আজম বিটু কাউন্সিল ভোটে হেরে যাওয়ায় সভাপতিসহ কেন্দ্রীয় নেতারা ঢাকায় ফেরার পথে ৩০-৪০ জন সন্ত্রাসী কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের গাড়িবহরে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে সদ্যনির্বাচিত যুবলীগের সভাপতি খন্দকার নজরুল ইসলামসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
জানা গেছে, যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ এবং কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনের কাউন্সিলর ভোটে মো. কায়সার আহাম্মেদ বেপারি যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং লায়ন শাহ আজম বিটু পরাজিত হন।
উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. কায়সার আহাম্মেদ বেপারি মুঠোফোনে যুগান্তর প্রতিনিধিকে জানান, লায়ন শাহ আজম বিটু যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়ে কাউন্সিলে হেরে গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়িবহরে হামলা করেছে। এতে সদ্যনির্বাচিত সভাপতিসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আমরা সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণসহ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এদিকে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী লায়ন শাহ আজম বিটুর মোবাইল নম্বর বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি এবং খুদেবার্তা পাঠিয়েও কোনো উত্তর মেলেনি।
হোমনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল কায়েস আকন্দ জানান, এখনও লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ মেরী বলেন, সন্ত্রাসীদের কোনো ছাড় নেই। সন্ত্রাসী যেই হোক না কেন, তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
No comments:
Post a Comment