বেনাপোলের এনজিও কর্মী আল আমিন ওরফে নয়ন হত্যাকা-ের ্ক্লু উদ্ঘাটন করেছে করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে পরকীয়া প্রেমের কারণেই নয়নকে হত্যা করা হয় । একই গ্রামের জহুর আলীর স্ত্রী কামরুন্নাহার ওরফে কুটিলার সাথে নয়নের পরকীয়া ছিল। তার জের ধরেই এই হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটে।
আজ দুপুরে যশোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন এ কথা জানান। তিনি বলেন, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) নয়ন হত্যাকা-ে জড়িত থাকার অভিযোগে বেনাপোলের দুর্গাপুর গ্রামের লোকমান মির্জার ছেলে জহুর আলী ও জহুর আলীর স্ত্রী কামরুন্নাহার ওরফে কুটিলকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে নয়ন হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রশি, ভিকটিম ও আসামির মোবাইল ফোন এবং রশি পোড়ানোর আলামত উদ্ধার করা হয়।
প্রেসব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন আরো বলেন, জহুর আলীর স্ত্রী কামরুন্নাহার ওরফে কুটিলার সাথে নয়নের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। এ কথা এলাকার লোকজনও জানতো। এ জন্যই কুটিলা আর এ সম্পর্ক রাখতে চাচ্ছিলোনা। কিন্তু সে ব্যর্থ হয়। এরপর স্বামী-স্ত্রী মিলে আল-আমিন নয়নকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৮ ডিসেম্বর রাতে তারা নয়নকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে গলায় রশি দিয়ে শ^াসরোধে হত্যা করে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দির সিকদার, তৌহিদুল ইসলাম, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ সোমেন দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
No comments:
Post a Comment