যশোর শহরের আরবপুর মোড়স্থ আসলামের খাবার হোটেলের মধ্যে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের হাতে আমিনুর রহমান বিশে (৩৫) হত্যাকাণ্ডে ৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নিহত বিশের ছোট ভাই সদর উপজেলার আরবপুর তালপট্টির মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে মো. শুভ হাওলাদার বাদি হয়ে সোমবার রাতে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলাটি করেন। মামলার আসামীরা হচ্ছে, যশোর সদর উপজেলার বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলৈ সাগর হোসেন, আকাশ, আনছার আলীর ছেলে তরিকুল ইসলাম, যশোর শহরের পুরাতন কসবার মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে ফেরদাউস হোসেন, সদর উপজেলার বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের শামসুদ্দিনের ছেলে নাঈম হোসেন, একই এলাকার ওয়াহিদের ছেলে রুবেলসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন।
শুভ হাওলাদার তার দায়েরকৃত মামলায় বলেছেন, তার বড় ভাই আমিনুর রহমান বিশে বালুর ব্যবসা করে। সাগরের সাথে কিছুদিন বালির ব্যবসা করতো। আমিনুর রহমান বিশে সাগরের কাছে কিছু টাকা পেতো। সাগর বিশেকে পাওনা টাকা না দেওয়ায় বেশ কিছুদিন পূর্ব হতে সাগরের সাথে বিশের শত্রুত শুরু হয়। এক পর্যায় সাগর তার সহযোগী আসামীদের নিয়ে বিশেকে হত্যার পরিকল্পনা করে। গত সোমবার ২১ ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় বিশে ভেকুটিয়া গ্রামে বালু কিনতে যায়। সেখানে বিশে সাগরের কাছে পাওনা টাকা চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে তর্কবির্তকের সৃষ্টি হয় তাদের মধ্যে। সাগর বিশেকে প্রকাশ্যে খুন করার হুমকী দিয়ে চলে যায়। বিশে বাড়ি হতে গোসল করে বেলা সোয়া ৩ টার পর আরবপুর মোড়স্থ আসলাম এর খাবার হোটেলের মধ্যে বসে ভাত খাওয়ার সময় ফেরদাউসের কথামতো সাগরসহ তার সহযোগীরা শত্রুতার কারনে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ধারালো চাকু ও দা দিয়ে বিশেকে খুন করার উদ্দেশ্যে আক্রমন করে। বিশের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা দ্রুত সটকে পড়ে। গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় বিশেকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকেল পৌনে ৪টায় সে মারা যায়। মারা যাওয়ার সময় বিশে তার ভাইকে উল্লেখিত আসামীদের নাম বলে গেছে।
মঙ্গলবার সকালে লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর সোমবার বিকেল পুলিশ অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের আনছার আলীর ছেলে তরিকুল ইসলাম নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে বলে স্থানীয় লোকজন ও তরিকুল ইসলামের পরিবারের সদ্যরা জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সেকেন্দার আবু জাফর জানান, তিনি এই হত্যা মামলায় কাউকে গ্রেফতার করেননি।
No comments:
Post a Comment