যশোরের বাহাদুরপুর পশ্চিমপাড়ার বহুলালোচিত ইব্রাহিম জনি পান্নু গাঁজা সিন্ডিকেট অপ্রতিরোধ্য স্টাইলে বিকিকিনি করছে। সংঘবদ্ধ ওই মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট পরিচালনা করছে একই গ্রামের টোকন। এই চক্রটি তাদের আজ্ঞাবহ আরও কয়েক যুবককে সাথে নিয়ে দেদারছে চালাচ্ছে মাদক কারবার। করোনা পরিস্থিতির কারণে পুলিশসহ বিভিন্ন আইন শৃংখলা বাহিনীর নজরদারি কম থাকায় অনেকটা বিনা বাধায় মরন নেশার কারবার চালাচ্ছে। স্থানীয়রা দ্রুত সিন্ডিকেটের আলোচিত ওই ৪ জনকে আটক করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।
মাদক নির্মূলে সরকারিভাবে জেহাদ ঘোষণা করে দেশে অভিযান চলছে। যশোরের পুলিশ সুপার যখন যশোরকে মাদকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন তখন শহরতলী বাহাদুরপুরসহ কয়েকটি এলাকা গাঁজায় সয়লাব করছে চিহ্নিতরা। বাহাদুরপুর পশ্চিমপাড়ার জনি, পান্নু মোল্লা ও ইব্রাহিম হোসেন গাঁজার রমরমা ব্যবসা চলছে বলে অভিযোগ আসছে। টোকনের নেতৃত্বে এই চক্রে ৮/১০ জন রয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন স্পটে, এমনকি বাড়িতেও গাঁজা সাপ্লাই করে থাকে এই সিন্ডিকেট। তাদের অপতৎপরতায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে এলাকাবাসী। সমানে চালাচ্ছে বেচাকেনা ও সেবন। মাদক ব্যবসার পাশাপাশি নানা অপতৎপরতার ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে তাদের অনেকে। এই চক্রের লোকজন পুলিশ প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রতিনিয়ত চালিয়ে যাচ্ছে রমরমা কারবার। ফোন করে মাদকের অর্ডার আর বিকাশের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ এমনই কায়দায় চলছে এই সিন্ডিকেটের মাদকের রমরমা ব্যবসা।
তবে এ ব্যাপারে ইব্রাহিম জনি পান্নু টোকন সিন্ডিকেট নিজেদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সতর্কতা অবলম্বন করে থাকে। এক্ষেত্রে মাদকসেবীদের পূরণ করতে হচ্ছে কিছু শর্ত। যে কেউ ফোন করে চাইলেই মিলছে না মাদকদ্রব্য। মাদক পেতে হলে ওই ব্যবসায়ীর পরিচিত ও নিয়মিত একজন খরিদ্দারের সুপারিশ লাগছে। তারপরই মিলছে চাহিদা মত মাদকদ্রব্য। এরপর ব্যবসায়ীদের নিয়োগ দেয়া মোটরসাইকেল চালক ডেলিভারি ম্যান নিরাপদ ঠিকানায় পৌঁছে দিচ্ছে মুহূর্তের মধ্যে। তবে এ ধরনের সুযোগের জন্য অর্ডারকারীকে জায়গা ভেদে গুনতে হচ্ছে একটু বাড়তি টাকা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, টোকনের নেতৃত্বে কেজি কেজি গাঁজা বেচাকেনা চলছে। এদের কারণে ওই এলাকার ছাত্র ও যুবসমাজ চরমভাবে প্রভাবিত হচ্ছে। ছাত্রদের কেউ কেউ সেবনসহ এই ব্যবসায় জড়িয়ে তাদের পরিবারকেও অতিষ্ঠ করে তুলছে।
ওই গাঁজা সিন্ডিকেটের কারণে ওই এলাকার সাধারণ মানুষ চরম উদ্বেগ, হতাশা আর উৎকন্ঠায় আছেন। তারা বলছেন, মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের অপতৎপরতায় মানুষ অতিষ্ঠ। এছাড়া এর প্রতিকুল প্রভাব পড়তে শুরু করেছে অনেকের পরিবারে। বিশেষ করে স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন অভিভাবকেরা। এ ব্যাপারে তারা পুলিশের উর্ধŸতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সুত্র; গ্রামের কাগজ
No comments:
Post a Comment