আজ (শুক্রবার) ১২ রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এই দিনে আরবের মরুপ্রান্তরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। প্রায় এক হাজার ৪০০ বছর আগে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নেন তিনি। আবার এই দিনে তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে যান। এ জন্য এটি ওফাত দিবসও।
বিভ্রান্ত মানুষদের পথ দেখিয়ে ৬৩ বছর বয়সে তিনি এই দিনেই ইন্তেকাল করেন। হজরত মুহাম্মদ (সা.) পৃথিবীতে এসেছিলেন তওহিদের মহান বাণী নিয়ে। তাই পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বিশ্ববাসীসহ মুসলিম উম্মাহর আনন্দের দিন। আবার এদিনই তিনি মারা যাওয়ায় একইসঙ্গে এটি মুসলিম বিশ্বের জন্য কষ্টের দিনও।
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আরবি তিনটি শব্দের সম্মিলিত রূপ। ঈদ, মিলাদ ও নবী- এই তিনটি শব্দ নিয়ে এটি গঠিত। আভিধানিক অর্থে ঈদ অর্থ খুশি, মিলাদ অর্থ জন্ম, নবী অর্থ বার্তাবাহক। পারিভাষিক অর্থে মহানবী (সা.)-এর দুনিয়ায় আবির্ভাবের আনন্দকে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) বলা হয়।
পবিত্র কোরআনের ৩৩ নম্বর সূরা আল আজহাবের ৫৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহ এবং তার ফেরেশতারাও নবীর জন্য দোয়া করেন। হে বিশ্বাসীগণ তোমরাও নবীর জন্য দোয়া কর ও পূর্ণ শান্তি কামনা কর। পবিত্র এই বাণীর আলোকে মহানবী (সা.)-এর মৃত্যুর পর বিভিন্ন পদ্ধতি বা আচার অনুষ্ঠান শুরু হয়।
অনেক ক্ষেত্রে তা স্থানীয় কৃষ্টি, সভ্যতা ও লৌকিকতার মিশ্রণে নতুন রূপ লাভ করে। আরব বিশ্বে কাব্য সাহিত্যে বিশেষ সমৃদ্ধ ছিল বিধায় কবিতার ছন্দে মহানবী (সা.)-এর প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও তাঁর জন্য দোয়া করা দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়। ছন্দের সঙ্গে সুরের সংমিশ্রণে নাতে রসুল (সা.) চালু হয়। পরে ছন্দ ও সুরের সঙ্গে বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার শুরু হলে বিভক্তি দেখা দেয় মুসলমান সমাজে।
আবার সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে ওয়াহাবি আন্দোলনের বিস্তার মহানবী (সা.) এর প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং দরুদ ও সালাম পেশের পদ্ধতিকে অতিমাত্রায় সীমিত করে ফেলে বলে অনেক নবীপ্রেমিক ও সুফিবাদে বিশ্বাসীদের অভিযোগ। তবে এ কথা সত্য, অভিযোগ থাকলেও মহানবী (সা.)-এর জন্মদিনে নিজস্ব রীতিনীতিতে তার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনে বদ্ধপরিকর দেশ-বিদেশের লাখো কোটি মুসলমান।
বাংলাদেশে যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপযাপিত হয়। এ দিনটিকে সরকারি ছুটি হিসেবে গণ্য করা হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা এ উপলক্ষে আলোচনা সভা, সেমিনার ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। তবে এ ক্ষেত্রে নতুন সংযোজন হলো বিশাল শোভাযাত্রা, যা জশনে জুলুস নামে পরিচিতি।
এদিনে মসজিদ, মাজার এবং বাড়ির অন্দর মহলেও চলে মিলাদ ও দরুদ পাঠের মহাযজ্ঞ। বিগত কয়েক বছর ধরে বন্দরনগরী চট্টগ্রামেও ব্যাপক আকারে জশনে জুলুস বা শোভাযাত্রা হয়। এছাড়াও ১২ আউলিয়ার পুণ্যভূমিখ্যাত চট্টগ্রামের বিভিন্ন মাজারকে কেন্দ্র করে বড় আকারের মিলাদ এবং তবারক বিতরণ চট্টগ্রামের পুরনো ঐতিহ্য।
ভারতে বসবাসরত মুসলমানদের মধ্যে পাকিস্তানি মুসলমানদের অনুকরণে একই রীতিনীতি ও আচার-আচরণের মধ্য দিয়ে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপনের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। বিশাল দেশ হিসেবে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে নিজ এলাকার সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যমূলক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েও মুসলমানগণ মহানবী (সা.)-এর জন্মবার্ষিকী পালন করে থাকে।
এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের অন্তর্ভুক্ত শ্রীনগর এলাকার মুসলমানগণ। ইতিহাস মতে, ইংরেজি ১৬৩৫ সালে জনৈক সৈয়দ আব্দুল্লাহ মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর একটি পবিত্র দাড়ি মোবারক ভারতের বিজাপুরে নিয়ে আসেন। তার পুত্র সৈয়দ হামিদের হাত ঘুরে পরবর্তীতে সেই পবিত্র দাড়ি মোবারক কাশ্মীরের ব্যবসায়ী নুরুদ্দিনের হাতে হস্তান্তরিত হয়।
মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের কাছে এই সংবাদ পৌঁছলে তিনি এই দাড়ি মোবারক হজরত খাজা মঈনুউদ্দিন চিশতির দরগায় সংরক্ষিত রাখেন এবং এই পবিত্র দাড়ি মোবারক নিজের কাছে রাখার দায়ে ব্যবসায়ী নূরুদ্দীনকে বন্দী করেন। ১৭০০ সালে সম্রাট আওরঙ্গজেব নিজেই নূরুদ্দীনকে মুক্তি দেন এবং তার কাছে মহাপবিত্র দাড়ি মোবারক ফেরত পাঠান।
তবে ইতিমধ্যে তার মৃত্যু ঘটলে পরিবারের অন্য সদস্যরা যথাযথ মর্যাদায় তা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেন। এই উদ্যোগ থেকে একটি মাজার গড়ে ওঠে। যেখানে এই পবিত্র দাড়ি মোবারক এখনো সংরক্ষিত আছে বলে জানা যায়। পরবর্তীতে এখানে একটি মসজিদ গড়ে ওঠে।
বর্তমানে এলাকার মূল আকর্ষণ হলো, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)-এর দিন এই পবিত্র দাড়ি মোবারক সবাইকে দেখার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। দুর্লভ সৌভাগ্য অর্জনের জন্য নবীপ্রেমিক লক্ষাধিক মুসলমান এই মসজিদ ও মাজারে জমায়েত হন এবং ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে রাত ও দিনটি অতিবাহিত করেন। তাদের অনেকেই মিলাদুন্নবী (সা.) পালনের জন্য নির্ধারিত দিনের বেশ আগেই মসজিদে অবস্থান শুরু করেন এবং ক্রমাগত ইবাদত-বন্দেগি করতে থাকেন।
অন্যদিকে আজমির শরিফ এবং দিল্লির নিজামউদ্দিন আউলিয়ার মাজার প্রাঙ্গণে ও পার্শ্ববর্তী মসজিদে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ব্যাপক ইবাদত-বন্দেগি চলে।
সরকারিভাবে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র হিসেবে স্বীকৃত বিশ্বের অন্যতম মুসলমান অধ্যুষিত দেশ পাকিস্তান। ভৌগোলিকভাবে পাকিস্তানের পূর্বে-ভারত এবং পশ্চিমে ইরান। ফলে পাকিস্তানের শিল্পসাহিত্য, আচার-আচরণ, রীতিনীতি ও সংস্কৃতিতে ভারত ও ইরান তথা পারস্যের প্রবল প্রভাব লক্ষণীয়। এ ছাড়া সুফিবাদ প্রচার ও প্রসারের উর্বর ক্ষেত্র হিসেবে পাকিস্তানের ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। ফলে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্মবার্ষিকী তথা ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে সমগ্র পাকিস্তানে নানা আনুষ্ঠানিকতা সমগ্র বিশ্ববাসীর দৃষ্টি কাড়ে।
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)-এর এক মাস আগে থেকেই পাড়ামহল্লা ও রাস্তাঘাটে ছোট ছোট দোকান গড়ে ওঠে বিশেষ ধরনের ব্যাজ, সবুজ পতাকা, টুপি ও ব্যানারের পসরা নিয়ে। অন্যান্য দোকানেও এসব সুভ্যেনির পাওয়া যায়। মিলাদুন্নবী (সা.) আগমন উপলক্ষে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে ৩১ বার এবং অন্যান্য রাজ্যের রাজধানীতে ২১ বার তোপধ্বনি বা কামান দেগে মহানবী (সা.)-এর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয় এবং ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)-এর আগমন ঘোষিত হয়।
এ সময় দেশটির সরকারি ও বেসরকারি ভবনগুলোতে দিনে জাতীয় পতাকা ও রাতে রং-বেরঙের আলোকসজ্জা সবাইকে মুগ্ধ করে। এ ছাড়া ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ইসলাম ও মহানবী (সা.)-এর শিক্ষাবিষয়ক ব্যানার টাঙানো হয় রাস্তাঘাটে। শহরাঞ্চলে চলে সম্মেলন, আলোচনা সভা, প্রতিযোগিতা ইত্যাদি। প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইবাদত-বন্দেগি ও রোজা রাখার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। বড় আকারের মিলাদ মাহফিল ও মিলাদ শেষে তবারক হিসেবে বিরিয়ানি বিতরণ পাকিস্তানের ঐতিহ্যবাহী প্রথা। কোনো কোনো স্থানে নাতে রসুল (সা.), ইসলামী গান ও কাওয়ালি শোনা যায়।
তবে সব ছাড়িয়ে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে বড় সমাবেশ হয় পাকিস্তানের লাহোরে অবস্থিত মিনার ই পাকিস্তান চত্বরে। রবিউল আওয়াল মাসের ১১ তারিখ রাতে মিনার ই পাকিস্তানে লক্ষাধিক মুসলমান মিলাদ মাহফিলের মাধ্যমে মহানবী (সা.)-এর প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান, দরুদ ও সালাম পেশ করেন এবং তবারক বিতরণ করেন। এছাড়া প্রায় প্রতিটি মুসলমান পরিবারে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বিশেষ খাবার তৈরি হয় এবং প্রতিবেশী, নিকটাত্মীয় ও দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম দ্বীপ রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ার প্রায় ৮৮ শতাংশই মুসলমান। সেই হিসাবে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশির মুসলমানের বসবাস ইন্দোনেশিয়ায়। আবার মুসলমানদের মধ্যে ৯৯ শতাংশ সুন্নি হওয়ায় পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে বড় সুন্নিপ্রধান দেশও ইন্দোনেশিয়া। তবে ইন্দোনেশিয়া কোনো ইসলামিক বা মুসলমান রাষ্ট্র নয়, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র।
ত্রয়োদশ শতকে আরবসহ অন্যান্য মুসলমান দেশের বাণিজ্যিক জাহাজ ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন দ্বীপে ব্যাপকভাবে নোঙর ফেলত এবং জাহাজে আসা মুসলমান ব্যবসায়ী ও শ্রমিক-কর্মচারীরা স্থানীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করত। তখন স্থানীয় অধিবাসী এবং শাসক শ্রেণি মুসলমানদের সততা, ব্যবহার ও জীবনাচারে মুগ্ধ হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ শুরু করে। পরে ভারতসহ বিভিন্ন দেশে ধর্ম প্রচার করে নিরলস পরিশ্রমে বিশ্বের বুকে ইন্দোনেশিয়া আজ জনসংখ্যার বিচারে বিশ্বের সর্ববৃহৎ দেশ।
ইতিহাস অনুসন্ধানে দেখা যায় জাকার্তার শাসক সুলতান হামেং কুবুওয়ানারের আমলে এই উৎসব শুরু হয়। নবীপ্রেমিক সুলতান হামেং কুবুওয়ানা ইন্দোনেশিয়ায় ইসলাম বিস্তারে বিশেষ আগ্রহী ছিলেন। তাই তিনি একটি উৎসবের মাধ্যমে ইসলামের মর্মবাণী ও মহানবী (সা.)-এর জীবনী সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন। সেদিনের সেই ছোট্ট উৎসব আজ ব্যাপক ব্যাপ্তি পেয়েছে।
বর্তমানে জাকার্তাসহ ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে সাকাতেন বা ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে সাত দিনব্যাপী উৎসব হয়। এই উৎসবে স্থানীয় সংস্কৃতির মিশ্রণে মহানবী (সা.)-এর জীবনী আলোচনা হয় এবং অন্যান্য ইবাদত করা হয়। বিশেষত্ব ১২ রবিউল আওয়াল তারিখে বিভিন্ন মসজিদ ও বাসাবাড়িতে ব্যাপকভাবে নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতায় স্মরণ করা হয় ইসলামের প্রবক্তা হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে। এ উপলক্ষে সারা রাত মেলার আদলে রাস্তাঘাট ও বাজারে বেচাকেনা চলে।
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বড় বড় ডেকচিতে নারিকেল, বাদাম, চিংড়ি ও মরিচের সংমিশ্রণে বিশেষ ধরনের ভাত রান্না করা হয়, যা স্থানীয়ভাবে সিগোগরিই নামে পরিচিত। এমনি ধরনের আরেকটি খাবার হলো গুগুনগান যা তৈরি হয় জাউভাত, বাদাম, সবজি, মরিচ ও ডিমের সংমিশ্রণে, মুসলমানরা এই খাবার সংগ্রহ করে বাড়িতে নিয়ে যায় এবং পরিবারের সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে খায়। অনেকে আবার কিছু খাবার ফসলের মাঠে ছিটিয়ে দেয় আরও বেশি ফসলের আশায়।
আফগানিস্তানের কিছু মুসলমান এ দিনটি আলোকসজ্জা, আতশবাজি, শোভাযাত্রা ও মিলাদ মাহফিলের মাধ্যমে পালন করে।
উত্তর আফ্রিকার এক বৃহৎ রাষ্ট্র লিবিয়া, ভূমধ্যসাগর ও অন্যান্য আফ্রিকান দেশের মাঝে অবস্থিত এই দেশে সপ্তম শতকে ইসলামের বিস্তার শুরু হয়। তবে বিভিন্ন আরব রাষ্ট্র এবং লিবিয়ার পূর্বে অবস্থিত শহর থেকে তৎকালে প্রচলিত কাফেলা, বেদুঈন, ধর্ম প্রচারক এবং সুফি দরবেশদের মধ্যে একাদশ শতকে লিবিয়ায় ইসলামের প্রচার ও প্রসার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়।
দেশটির মুসলমানদের মধ্যে অধিকাংশ সুফি মতবাদে বিশ্বাস করে এবং প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্মদিন পালনে সুফি মতবাদে প্রচলিত আনুষ্ঠানিকতা অনুসরণ করে। রাজধানী ত্রিপোলিসহ লিবিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে বিখ্যাত কিছু সুফি মতানুসারী নিয়ন্ত্রিত মসজিদ রয়েছে, যেখানে যথাযথ মর্যাদায় ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হয়।
এই দিনে দেশটিতে ছুটি পালন করা হয় এবং প্রাচীন ঐতিহ্যে বিভিন্ন শহরের রাস্তায় শোভাযাত্রা বের করা হয়। এসব মিছিলে সমবেতভাবে ভক্তিমূলক গান ও নাতে রসুল (সা.)-এর মাধ্যমে মহানবী (সা.)-এর মাহাত্ম্য বন্দনা করা হয়। সেই সঙ্গে মিছিলে বিশেষ ধরনের ঢোল ও বড় মন্দিরা বা ট্রাম্পেট বাজানো হয়।
এছাড়া ইরাক, ইরান, কুয়েত, মিসর, ইয়েমেন, ফিলিস্তিন, আলজেরিয়া, মরক্কো, সিরিয়া, লিবিয়া, জর্ডান, তিউনিসিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১২ রবিউল আউয়াল সরকারি ছুটি পালিত হয়।
No comments:
Post a Comment