যশোরের মণিরামপুরে ডিসলাইনের দু’কর্মচারী খুন হয়েছেন। উপজেলার ঢাকুরিয়ার একটি ইটের ভাটার পাশে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে তাদেরকে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নিহতরা হলেন সদর উপজেলার জয়ন্তা গ্রামের নিকমল মোল্লার ছেলে আব্দুল আহাদ মোল্লা (২২) এবং প্রবাসী আক্তার হোসেন গাজীর ছেলে বাদল মাহমুদ (২২)। নিহতরা দু’জন স¤পর্কে প্রতিবেশি চাচাতোভাই।
খবর পেয়ে রাত নয়টার দিকে থানা পুলিশ লাশ হেফাজতে নেয়। ঘটনাস্থলে তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও দুটি মোবাইল ফোন পড়ে ছিলো৷ তবে কারা কী কারণে তাদের হত্যা করেছে তা তখনই জানা যায়নি।
ঘটনাস্থলের পাশের বাড়ির বাসিন্দা নাসির বিশ্বাস বলেন, সন্ধ্যার কিছুসময় পরে আমি বাড়ির উঠোনে বসে ছিলাম। তখন রক্তাক্ত একজন দৌঁড়ে এসে বলে, ‘চাচা, আমারে বাঁচান। এই বলে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। তখন আমরা বাড়ির সবাই চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে নিয়ে ভ্যানে করে হাসপাতালে রওয়ানা হয়। পথে সদর উপজেলার চাউলিয়া গেটে ওই ছেলেটির মৃত্যু হয়। পরে লোকজন এগিয়ে গিয়ে দেখে, আরেকজনের লাশ রাস্তায় (ঘটনাস্থলে) পড়ে আছে।
ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা লাশটি বাদলের। আর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত যুবকের নাম আহাদ।
নিহতদের স্বজনরা জানান, বাদল ক’দিন আগে নতুন মোটরসাইকেল কেনেন। ইন্টারনেট ব্যবসার পাশাপাশি তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে বাদল ও আহাদ বসুন্দিয়া জয়ন্তা বাজারে ক্যারামবোর্ড খেলছিলেন। তখন বাদলের মোবাইলে কল এলে তারা দুইজন মোটরসাইকেলে চেপে বেরিয়ে পড়েন।
স্থানীয়দের ধারণা, মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের উদ্দেশে তাদের ডেকে এনে খুন করে দুর্বৃত্তরা। কিন্তু ঘটনাটি আশপাশের লোক দ্রুতই টের পেয়ে যাওয়ায় তারা মোটরসাইকেল রাস্তার ওপর ফেলে পালিয়ে যায়।
মণিরামপুর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই দেবাশীষ বিশ্বাস বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। লাশ দুটি ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। হত্যার কারণ এখনো জানা যায়নি।
যশোরর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(বিশেষ শাখা) তৌহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন৷
No comments:
Post a Comment