আটক চারজনের মধ্যে ১৪-১৫ বছরের এক কিশোর রয়েছে। অন্য তিনজন হল বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার লগপুর গ্রামের গোলজার হোসেনের ছেলে রিকু হোসেন (৩০), একই উপজেলার মামকাটি গ্রামের মোহাম্মদ শেখের ছেলে জামাল হোসেন (৩২) ও রামপাল উপজেলার কোমলা গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে মিজানুর রহমান মিজান (৩২)।
আটক চারজনকে মণিরামপুর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি ঝাঁপায় গরু চোরের উৎপাত বেড়েছে। গত একমাসে কোমলপুর, হানুয়ার, দোঁদাড়িয়া এলাকায় ২৫-৩০টি গরু চুরি হয়েছে। যার মধ্যে কোমলপুর গ্রামের ১৫টি গরু রয়েছে। নিরাপত্তা না পেয়ে কয়েকদিন ধরে লোকজন রাত জেগে পাহারা শুরু করেছেন।
সোমবার রাত ১২টার দিকে একটি পিকআপভ্যান (খুলনা মেট্রো-ন-১১-০৮১৪) কোমলপুর বাজার পার হওয়ার সময় রাস্তার মাঝখানে বসে থাকা কয়েকজন যুবক গাড়িটি দাঁড় করিয়ে ভেতরে থাকা চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। প্রথমে তারা জানান, পিকআপে করে মাছ নেওয়ার জন্যে এই এলাকায় এসেছেন। কিন্তু মাছ বহন করার ড্রাম না থাকায় তাদের সন্দেহ বাড়ে। পরে গাড়ি চেক করে লম্বা দড়ি ও কিছু ট্যাবলেট পাওয়া যায়। একপর্যায়ে পিকআপে থাকা কিশোর গরু চুরির কথা স্বীকার করে।
ওই কিশোর জানায়, মাছ বহন করার কথা বলে দৈনিক তিনশ’ টাকা মজুরিতে তাকে সঙ্গে নেয় বাকিরা। পরে মাছ বহনের পরিবর্তে গত একমাস ধরে তাদের সঙ্গে সে গরু চুরির কাজ করছে। এরপর বাকিদের ধরে মারপিট করে পুলিশে দেন স্থানীয়রা।
ঝাঁপা এলাকা থেকে চুরি হওয়া গরুগুলো ফকিরহাট বাজারে বিক্রি হয় বলে চোরেরা জানিয়েছে।
ঝাঁপা ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এস আই ওয়াসিম আকরাম বলেন, ‘লোকজন পিকআপসহ চারজনকে ধরে আমাদের খবর দিয়েছে। রাতেই তাদের থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এই ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।’
No comments:
Post a Comment