২২ অক্টোবর মহাষষ্টীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে ৫ দিনব্যাপী শারদীয় উৎসব। তাই দুর্গতিনাশিনী শ্রীশ্রী দেবীদুর্গার আগমনকে ঘিরে পুরোদমে চলছে পূজার প্রস্তুতি।
এ বছর সদর উপজেলায় সবচেয়ে বেশী ১২৯টি স্থানে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে যশোর পৌরসভায় অনুষ্ঠিত হবে ৩৬টি মন্দিরে। অভয়নগরে ১২২টি, কেশবপুরে ৯১টি, মণিরামপুরে ৮৯টি, বাঘারপাড়ায় ৮৩টি, ঝিকরগাছায় ৪৪টি, চৌগাছায় ৪০টি এবং শার্শা উপজেলায় ৩৪টি মন্দিরে এ পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
শারদীয় দুর্গাপূজা চলাকালীন মন্দিরে সার্বক্ষণিক প্রশাসনের নজরদারি থাকবে। আর পূজা আয়োজক কমিটির নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দল থাকবে নিরাপত্তার দায়িত্বে। একইসাথে ইউনিয়ন পর্যায়ে সার্বক্ষনিক দায়িত্বরত বিট পুলিশ কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট এলাকায় সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন। এ তথ্য জানিয়েছেন যশোরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন। জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে বুধবার বিকেলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন যশোর জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার জনাব মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, পিপিএম, মহোদয়। এসময় পুলিশ সুপার মহোদয় আসন্ন পূজা উদযাপন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক বিভিন্ন প্রকার দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জনাব অসীম কুন্ডু, সভাপতি, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ. যশোর জেলা শাখা, জনাব যোগেশ চন্দ্র দত্ত, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ. যশোর জেলা শাখা, যশোর সহ জেলা কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দু।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জনাব মোহাম্মদ সালাউদ্দিন শিকদার, অতিঃ পুলিশ সুপার, (অপরাধ), যশোর, জনাব মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, পিপিএম, অতিঃ পুলিশ সুপার, (জেলা বিশেষ শাখা), যশোর, জনাব মোঃ গোলাম রব্বানী শেখ, পিপিএম, অতিঃ পুলিশ সুপার, ‘ক’ সার্কেল, যশোর, জনাব জামাল আল নাসের, অতিঃ পুলিশ সুপার, ‘খ’ সার্কেল, যশোর, জনাব মোহাম্মদ অপু সরোয়ার অতিঃ পুলিশ সুপার (সদর), যশোর, জনাব সোয়েব আহমেদ খান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, মনিরামপুর সার্কেল, জনাব জুয়েল ইমরান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাভারন সার্কেল, যশোর, সকল থানার অফিসার ইনচার্জ, ডিআইও-১, আরআই পুলিশ লাইন্স, আরওআই রিজার্ভ অফিস, পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন ) সহ জেলা পুলিশের উদ্ধর্তন কর্মকর্তাগণ।
সভার শুরুতে জেলার আট উপজেলায় এবছর দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত ৬৩২টি মন্দিরের অবস্থানসহ আয়োজক কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম, মোবাইল নম্বারের লিখিত তালিকা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ উদ্দিনের কাছে হস্তান্তর করেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এবছর সাদা-মাটা হলেও চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি। প্রতিমা সাজাতে রাতদিন কাজ করছেন ভাস্করেরা। ইতোমধ্যে খড় আর কাদামাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ। এখন রং আর তুলির আঁচড়ে চলছে মা দুর্গাকে সাজানোর কাজ।
No comments:
Post a Comment