যশোর শিক্ষা বোর্ডের ২ হাজার ৯১৩ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সিসি ক্যামেরার আওতায় - Jashore Tribune

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad

as

a1

Thursday, October 1, 2020

যশোর শিক্ষা বোর্ডের ২ হাজার ৯১৩ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সিসি ক্যামেরার আওতায়

 


যশোর শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন ২ হাজার ৯১৩ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সিসি ক্যামেরা সংযোজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। 

বিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা, শিক্ষা পরিবেশ সুরক্ষা, শ্রেণিকক্ষে  পাঠদান তদারকি করার জন্য এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ। আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে বিদ্যালয়গুলোতে সিসি ক্যামেরা সংযোজনের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. বিশ^াস শাহীন আহমেদের ২৯ সেপ্টেম্বরের সাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শিক্ষকরা বলছেন যশোর বোর্ডের আওতাধীন ৮০ শতাংশ বিদ্যালয়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের সামর্থ্য নেই। করোনা পরিস্থিতির পর বিদ্যালয় না খোলা পর্যন্ত অনেক বিদ্যালয় বোর্ডের এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে পারবে না।

বোর্ড সূত্র জানায়, সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ফলে শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে ক্লাস নিলে পেছনের অনেক শিক্ষার্থী মনযোগ দিয়ে ক্লাস করছে কিনা আবার অন্য মনস্ক থাকছে কিনা ও শিক্ষক সঠিকভাবে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিচ্ছেন কিনা সেটাও ধরা পড়ে। সেই সাথে বিদ্যালয়ে কারা আসছে যাচ্ছে সেটা দেখা যায়। রাতের বেলা বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও পরেরদিন বোঝা যাবে কেউ স্কুলে এসেছে কিনা। সেকারণে সার্বিক দিক দিয়ে সিসি ক্যামেরা লাগানো জরুরি। সিসি ক্যামেরা লাগানো থাকলে শিক্ষক,শিক্ষার্থীর ফাঁকি বাজি বন্ধ করা যায়। কারন সিসি ক্যামেরা থাকলে একজন শিক্ষার্থী ক্লাস ফাঁকি বাজি করতে দ্বিধাবোধ করে। সেভাবে এ ভিডিও যদি বাবামাকে দেখানো হয় তারা সন্তানকে বকাবকি করবেন। একারণে বোর্ডের আওতাধীন ২  হাজার ৯১৩ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সিসি ক্যামেরা সংযোজনের জন্য চেয়ারম্যানের নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেছে বিদ্যালয় পরিদর্শক। এ চিঠি বোর্ডের ওয়েবসাইটের নোটিশে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে যশোর ৫৪৯, খুলনা৪২৫ ,ঝিনাইদহ৩০৬ , মাগুরা১৭৯, সাতক্ষীরা ৩৩০, কুষ্টিয়া ৩১৯ , নড়াইল ১৩৩, মেহেরপুর-১৩০, বাগেরহাট ৩৯৯, চুয়াডাঙ্গা ১৪৩টি।

যশোর জেলা স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, যশোর বোর্ডের আওতাধীন ৮০ শতাংশ বিদ্যালয়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের সামর্থ্য নেই। করোনাভাইরাসের কারণে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় অনেক বিদ্যালয়ের ফান্ডে টাকা নেই। ওইসব বিদ্যালয় খুললে তারপর তারা এটা শুরু করতে পারবে। যদি শিক্ষা বোর্ডের উদ্যোগে সামর্থ্যহীন বিদ্যালয়ে সিসি ক্যামেরা ক্রয়ের জন্য আর্থিক সহায়তা করে তাহলে একটি দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হবে। উপশহর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মঙ্গনুদ্দিন জানান, তার স্কুল নতুন এমপিওভুক্ত হয়েছে। তারপর করোনার কারণে বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেছে। নয় মাসে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় কোনো আয় হয়নি। তাই তার পক্ষে এই মুহূর্তে সিসি ক্যামেরা লাগানো সম্ভব না। একই কথা জানান শেখহাটির শফিয়ার রহমান মডেল একাডেমির প্রধান শিক্ষক রেজাউল ইসলাম।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad