যশোরে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে গাঁজা সিন্ডিকেট করোনা সংকটের মধ্যে বিক্রি ও উদ্ধার বৃদ্ধি পেয়েছে।আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার হাতে উদ্ধারও হচ্ছে বিপুল পরিমান গাঁজা।
আবার অনেক স্থানে গোপনে চাষও হচ্ছে। গত দু’মাসে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিভিন্ন ইউনিট মাদকদ্রব্য উদ্ধারে সাফল্য দেখালেও সাধারণ মানুষ অভিযান আরও বৃদ্ধির দাবি করেছেন।
কয়েকটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা থেকে পাওয়া তথ্যে জানাগেছে, করোনা সংকটের মধ্যেও সংঘবদ্ধ গাঁজা সিন্ডিকেট বেপরোয়াভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এসময়ে কমপক্ষে চারটি স্পট থেকে গাঁজা গাছ উদ্ধার হয়েছে।
১৫ আগস্ট রাতে পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা যশোর শহর ও শহরতলীতে অভিযান চালিয়ে ১০ ফুট লম্বা একটি গাঁজা গাছ উদ্ধার করে। শহরতলীর বিরামপুর বাবুপাড়া শীলা রায় স্কুলের পাশের বাড়িতে টিউবওয়েলের পাশে গাঁজার গাছটি রোপণ করা ছিল। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর খুলনা ও যশোর পুলিশের পৃথক অভিযানে আধা কেজি গাঁজা উদ্ধার করে ১৫ জুলাই রাতে। এসময় গাঁজা দখলে রাখার ঘটনায় যশোর শহরের বেজপাড়া আনছার ক্যাম্প পানির ট্যাংকের পাশের মৃত আনোয়ার মোল্øার ছেলে হাফিজুর রহমান ওরফে হাফিজ, চাঁচড়া চেকপোস্ট সোহরাব হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম রুস্তম, সদর উপজেলার খোলাডাঙ্গা গ্রামের সেলিমের ছেলে আবুজার ও সদর উপজেলার ভাতুড়িয়া বেড়বাড়ি গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে বাবু আটক হয়। একই দিন পুলিশ গাঁজা বিক্রিকালে শফিকুল ইসলাম লিটন নামে যশোর সদর উপজেলার শ্রীবদ্দি ঘোড়াগাছা গ্রামের গাঁজা কারবারীকে আটক করে।
২০ জুলাই যশোরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয় ক সার্কেলের সদস্যরা দেড়শ’ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করেন। এসময় তিন মাদক বিক্রেতাকে আটক করা হয়। ২৪ জুলাই সন্ধ্যা ৬টায় গোপন খবর পেয়ে তালবাড়িয়া ক্যাম্পের একটি টিম শেখহাটি তমালতলার নারায়ণ সাহা ওরফে নারু গোপালের বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় তার ঘর থেকে দেড়শ’ গ্রাম গাঁজাসহ তাকে আটক করা হয়। ২৫ জুলাই রাতে গোপন খবরে উপশহর পার্কে অভিযান চালিয়ে গাঁজা বিকিকিনি চক্রের চারজনকে একশ’ ২০ গ্রাম গাঁজাসহ আটক করে পুলিশ। এরা হচ্ছে, যশোর সদর উপজেলার মুড়লী খাঁ পাড়ার মৃত জান আলীর ছেলে সাব্বির হোসেন, বিরামপুর কালীতলার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে তাহসিন আহমেদ ওরফে অংকন, উপশহর এ ব্লকের মুকুল হোসেনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম ও সি ব্লকের জাবেদ হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান জনি। ২৬ জুলাই রাতে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে একশ’ ৫০ গ্রাম গাঁজাসহ একজনকে আটক করা হয়।
অপরদিকে, ওই পুলিশ টিম একই রাতে শানতলার আজিজুর রহমানের চায়ের দোকানের সামনে থেকে বকুল হোসেনকে সাড়ে তিনশ’ গ্রাম গাঁজাসহ আটক করে। এভাবে আরও কয়েকডজন অভিযানে বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করেছে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। আরও অনেক গাঁজা কারবারী, সেবনকারী ও মাদক কারবারী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। দ্রুত এদের আইনের আওতায় আনার দাবি উঠেছে।
No comments:
Post a Comment