সাধ থাকলেও সাধ্য নেই রেস্টুরেন্টে গিয়ে চাইনিজ কিংবা এ জাতীয় খাবার খাওয়ার। ফুডব্যাংকিং যশোর কল্যাণ সংস্থা ওদের সেই স্বপ্ন পূরণ করল। নিজেদের দুশ’ তম ইভেন্টে ৪০ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে এ ধরনের বিশেষ পরিবেশে বিশেষ খাবার খাওয়ার সুযোগ করে দেয় ফুডব্যাংকিং।
ইচএমএম রোডের একটি রেস্টুরেন্টে ফুডব্যাংকিং আয়োজন করে ব্যতিক্রমী এ অনুষ্ঠানের। যেখানে জীবনে প্রথমবারের মতো ফ্রাইড রাইস, চাইনিজ ভেজিটেবল, চিকেন ফ্রাই নামের খাবারগুলো খাওয়ার সুযোগ পায় সুবিধাবঞ্চিত ৪০ টি শিশু।
কেক কেটে দুশ’ তম আয়োজনের সূচনা করে ফুডব্যাংকিং কর্তৃপক্ষ। এ সময় শিশুদের উৎসাহ দিতে তাদের সাথে যুক্ত হন প্রেসক্লাব যশোরের সম্পাদক আহসান কবীর, ফুডব্যাংকিং যশোরের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক শেখ শাহজাহান, উপদেষ্টা আসাদুজ্জামান পাভেল ও সভাপতি আনিকা তাবাসসুম। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ প্রচার সম্পাদক সারিকা, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ রমেন আকাশ, অর্থ সম্পাদক এমডি নাঈমুল হক হামিম, সদস্য জ্যোতি, নিয়ম, চিশতি, তুশিব, রাফসান, সজল ও রাজ।
কেক কাটা শেষে সকল শিশুকে পরিবেশন করা হয় খাবার। আগ্রহ উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে সকলে প্রথমবারের মতো স্বাদ গ্রহণ করে চাইনিজের। এ কারণে চোখে মুখে সবার বিশেষ আনন্দের ঝিলিক। তবে,ক্ষণিকের অস্বস্তিও ছিল এসব শিশুর মধ্যে। খাবার টেবিলে দেওয়া হয় চামচ। কিন্তু চামচ দিয়ে খাওয়ায় অভ্যস্ত না ওরা। কয়েক মিনিট চামচ দিয়ে খাওয়ার কষ্টকর প্রচেষ্টা চলার পর আয়োজকরা তার সমাধান দেয়। জানায় প্রথম দিন চাইনিজ হাত দিয়ে খেতে হয়। এ কথা বলার পরপরই পাল্টে যায় চিত্র। গল্প আড্ডায় হাত দিয়ে খেতে খেতে অপরিচিত ছোট্ট শিশুরা একে অপরের সাথে পরিচিত হয়।
আয়োজন নিয়ে শেখ শাহজাহান জানান, প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত ১৪ হাজার ছয়শ’ ৫০ জনকে খাবার দিয়েছেন তারা। মানসম্মত কোনো খাদ্যকণা নষ্ট হবে না। পৌঁছে যাবে অনাহারির মুখে। এ চিন্তা থেকে ফুডব্যাংকিংয়ের পথচলা শুরু। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত অনেকের ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের পার্থক্য কারো কাছ থেকে তারা টাকা পয়সা নেন না। বড় অনুষ্ঠানে বা আয়োজনে বাড়তি খাদ্য তারা পৌঁছে দেন সুবিধাবঞ্চিতদের হাতে। কেউ পিছিয়েপড়া প্রান্তিক মানুষ ও শিশুদের খাওয়ানোর জন্য কোনো কিছু করতে চাইলে সে কাজেও সহযোগিতা করে ফুডব্যাংকিং।
No comments:
Post a Comment