যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চাঁদাবাজি করছে সুজন সিন্ডিকেট। খুন-গুমের ভয় দেখিয়ে প্রতিদিন সন্ধ্যায় হাসপাতালের ব্লাডব্যাংক থেকে এ সিন্ডিকেটের সদস্যরা আদায় করছে হাজার টাকা। টাকা দিতে অস্বীকার করলেই কর্মচারী-কর্মকর্তাদের পড়তে হচ্ছে সন্ত্রাসীদের হুমকির মুখে।সুজনের বাড়ি শহতরতলীর বিরামপুর এলাকায়। আগে সে ইজিবাইক চালাতো। সম্প্রতি হাসপাতাল এলাকায় একটি পক্ষের সাথে সুজনের সখ্যতা গড়ে উঠেছে। প্রতিদিন রাতে হাসপাতাল চত্বরে সুজন সিন্ডিকেট মাদকের আসর বসাচ্ছে। মূলত মাদকের টাকা ম্যানেজ করতেই গত এক মাস ধরে প্রতিদিন সন্ধ্যায় হাসপাতালের ব্লাডব্যাংক থেকে এক হাজার টাকা করে চাঁদা নিচ্ছে এই সিন্ডিকেট। এক সপ্তাহ আগে চাঁদাবাজির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে সুজনের সাথে সাদ্দাম নামে এক যুবকের বিরোধ হয়। এরপর থেকে সুজন নিজেই একটি চাঁদাবাজি সিন্ডিকেট তৈরি করেছে। তাদের সিন্ডিটেকের টার্গেট রাতে কোনো রোগী বা তাদের স্বজনরা ওষুধ কিংবা খাবার কিনতে আসলে টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া।
হাসপাতালে আগত একাধিক রোগী ও তাদের স্বজনের অভিযোগ, রাতে কেউ ওষুধ কিংবা খাবার কিনতে বাইরে গেলে তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সবকিছু লুট করে নেওয়া হয়। এ চক্রে পাঁচ-ছয়জন সদস্য রয়েছে। হাসপাতালের তিন গেটেই সারারাত থাকে সুজন সিন্ডিকেটের সদস্যরা।
সন্ত্রাসীদের রুখতে ও সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদাবাজি বন্ধে যশোর সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক দিলীপ কুমার রায় জানান, গত এক মাস ধরে ব্লাডব্যাংক থেকে চাঁদাবাজি করছে একটি চক্র। ব্লাডব্যাংকের কর্মকর্তারা তার কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
No comments:
Post a Comment