এতিমখানায় বড় হলেও এখন তিনি কোটিপতি। চলেন দেহরক্ষী নিয়ে। পরিবার নিয়ে গত সাত বছরে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেছে ১৬ বার।
গল্পটি রাজউকের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী শফিউল্লাহ্ বাবুর।
২০০১ সালে মাত্র ১ হাজার ৮৭৫ টাকা বেতনে অস্থায়ী কর্মচারী হিসেবে যোগ দেন রাজউকে। চাকরির তিন বছরের মাথায় নানা অনিয়মের দ্বায়ে চাকরি হারান। পরে মামলা করে পাঁচ বছর পর ফেরেন কর্মস্থলে। গতবছর পদোন্নতি পেয়ে রেখাকার হিসাবে চাকরিতে স্থায়ী হন বাবু।
নিয়মিত অফিস না করার অভিযোগও আছে বাবুর বিরুদ্ধে।
মীরপুরের পীরের বাগ এলাকায় দশ তলা বাড়ির মালিক বাবু ও তার স্ত্রী। তবে তিনি এখনো টিনসেড বাড়ি হিসাবে ট্যাক্স দেন সিটি করপোরেশনে। এর ঠিক পাশের বাড়িতে স্ত্রীর নামে রয়েছে আরও একটি ফ্লাট। তাকে এই বাড়ি সম্পর্কে জানতে চাইলে জানান, ২০০৪ সালে চাকরি চলে যাওয়ার পর তিনি ব্যবসা করে এই বাড়ি করেন। তার ডেয়ারি ফার্ম আছে।
২০১১ সালে মেয়ে অপ্সরার নামে খোলেন অপ্সরা হোমস লিমিটেড কোম্পানি। যার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাবুর স্ত্রী কুলসুমি আক্তার লিজা। এই কোম্পানির সব শেয়ার বাবুর স্ত্রী, শ্বশুর ও তার ভাইয়ের নামে।
অপ্সরা হোমস লিমিটেড কোম্পানির মাধ্যমে মীরপুর পীরের বাগ এলাকায় আট বাড়ি করা হয়। এছাড়াও মধ্য পীরের বাগে ও শ্যাওড়াপাড়ায় বাড়ি করা হয় এই কোম্পানির মাধ্যমে।
বাবু পার্সপোটে নিজেকে পরিচয় দিয়েছেন ব্যবসায়ি হিসাবে। একাধিক বার বিদেশে গেলেও রাজউকের অনুমতি নিয়েছে মাত্র একবার।
গ্রামের বাড়িতে আছে একটি গরুর খামার। যার তদারকি করেন তার বড় ভাই।
এতিমখানায় বড় হলেও তা অস্বীকার করেন তিনি। তবে এতিমখানার শিক্ষকরা জানান তিনি ঐ এতিমখানা থেকে এস এস সি পরীক্ষা দেন।
বাবুর নামে গৃহায়ণ মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করা হয়। তবে বাবুর সম্পর্কে কোন কথা বলতে চান না রাজউকের চেয়ারম্যানসহ উর্ধ্বতন কর্মকতারা। বাবু নিজে ফোনে কথা বললেও সরাসরি কথা বলতে রাজি হননি। এমনকি তার সম্পর্কে খোঁজ খবর না নেওয়ার জন্য ও হুমকি দেন তিনি।
No comments:
Post a Comment