ঘাটতি ১০ লাখ টন এরই মধ্যে আমদানি হয়েছে ৫ লাখ টন, তারপরও অস্থির পেঁয়াজের বাজার।
দেশে পেঁয়াজের মোট চাহিদার তুলনায় ঘাটতি মাত্র ১০ লাখ টন। ঘটতি মেটাতে এরই মধ্যে আমদানি হয়েছে ৫ লাখ টনের বেশি পেঁয়াজ। এরপরও সঙ্কট আতঙ্কেই বাড়ছে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দর। বিক্রেতা থেকে বিশ্লেষক সবাই বলছেন, শুধু আতঙ্কের কারণেই অনিয়ন্ত্রিত হচ্ছে পেঁয়াজ বাজার। দীর্ঘ মেয়াদে আমদানি নির্ভরতা কমাতে পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়ানোর বিকল্প নেই বলে মনে করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
রান্নার জন্য অপরিহার্য না হলেও গেল বছর থেকেই অস্থির এ পণ্যটির বাজার দাম। কারওয়ান বাজারের ক্ষুদ্র পাইকাররা বলছেন, সঙ্কট আতঙ্কই দাম বাড়ার মূল কারণ। দাম বাড়ার জন্য হুজুগে ক্রেতার অস্বাভাবিক আচারণকে দায়ী করলেও পরিসংখ্যাণ বলছে, বাংলাদেশে মোট চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের উৎপাদন কম হয় প্রায় ১০ লাখ টন। যদিও বাজারজাতকরণে অপচয় এবং পচনশীল পণ্য হওয়ায় প্রকৃত ঘাটতি আরো বেশি। আর সেজন্য সংস্থাভেদে আছে পরিসংখ্যানের তারতম্য।
বিআইডিএস এর সিনিয়র রিসার্স ফেলো নাজনীন আহমেদ জানান, মোট চাহিদার ৭০ শতাংশ মেটায় দেশীয় পেঁয়াজ। গবেষণার তথ্য তুলে ধরে তিনি জানান, একটা পরিবারে প্রতি মাসে চার থেকে পাঁচ কেজির বেশি পেঁয়াজের প্রয়োজন হয়না। সুতরাং আতঙ্কিত হয়ে বেশি বেশি পেঁয়াজ না কেনার পরামর্শ দেন নাজনীন আহমেদ।
এ অবস্থায় পেঁয়াজের বাজারের অস্থিরতা কমাতে হলে উৎপাদন বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। সেই সঙ্গে মৌসুমের চাহিদা বুঝে নিশ্চিত করতে হবে আগাম আমদানিও।
এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ আবদুল মুঈদ বলেন, সঙ্কট মেটাতে এরইমধ্যে ৫ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। আমদানি নির্ভর পেঁয়াজের বাজার আর দেখতে চাইনা। এজন্য ইতিমধ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আর এক লাখ হেক্টর জমি বাড়াতে পারলে ৩৩ থেকে ৩৫ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদন করা সম্ভব। তখন আর এ সঙ্কট থাকবে না।'
পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে আবাদি জমি বাড়ানোর পাশাপাশি বিভিন্ন মৌসুমে উৎপাদন করা যায় এমন জাতের চাষ বাড়ানোর চেষ্টা করছে কৃষি বিভাগ। মহাপরিচালক জানালেন, আসছে মৌসুমেই পেঁয়াজের আমদানি নির্ভরতা কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে কৃষি বিভাগ।
No comments:
Post a Comment