মোবাইলের সমস্যা সমাধান করতে যেয়ে মহা বিপাকে পরেছেন যশোরের এক নারী। মোবাইলের দোকানীরা তার ফেসবুক পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করে চাঁদাবাজী করতে যেয়ে ধরা খেয়েছেন। এ ঘটনায় বুধবার দিবাগত গভীর রাতে কোতয়ালি মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কোতোয়ালী থানায় মামলা হয়েছে। তিনজন আটকও হয়েছে। একই সাথে আদালতে ঘটনার সাথে জরিত থাকার বিষয় স্বিকার করেছেন। আসামীরা হলেন,নড়াইল জেলার সদর উপজেলার চুনখোলা গ্রামের টুটুল বিশ্বাসের ছেলে সোহাগ হোসেন, যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার খলিলপুর খাঁন পাড়া গ্রামের মোবাস্বের আল খাঁনের ছেলে কুদ্দুস আলী ও একই থানার তরফ মাহমুদ দিঘীরপাড় গ্রামের আবুল কালাম হাওলাদারের ছেলে সুমন হোসাইন।
যশোর শহরতলী নীলগঞ্জ সাহাপাড়ার সেলিমের স্ত্রী খাদিজা সেলিম রোজা আসামীদের নাম উল্লেখ করে মামলায় উল্লেখ করেছেন, ,গত ২ মার্চ বেলা ১১ টায় যশোর শহরের ১১ আরএনরোডে মোবাইল ঠিক করতে দি মোবাইল ষ্টোর নামক প্রতিষ্ঠানে তিনি যান। সেখানে সোহাগ হোসেন উক্ত দোকানের ম্যানেজার ও কুদ্দুস উক্ত দোকানের সেলসম্যান পরিচয় দেয়। তাদের কাছে মোবাইল সেট মেরামত করার জন্য দিলে তারা গৃহবধূকে মোবাইল সমস্যা সমাধানের জন্য উক্ত মোবাইলের পাসওয়ার্ড চাইলে গৃহবধূ সরল বিশ্বাসে পাসওয়ার্ড দেন। পরে মোবাইল মেরামত শেষে বাড়িতে চলে আসে। এর পর গত ২৪ আগষ্ট বাদীর ফেসবুক আইডিতে রাত সাড়ে ৯ টায় সুমন হোসাইন তার বিকাশ একাউন্ট নাম্বারে ১লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আসামীরা তাদের ফেসবুক আইডি রাফি শেখ লিংক থেকে বাদী ফেসবুক আইডিতে ম্যাসেস প্রদান করে। ম্যাসেজে আরও উল্লেখ করে যে,টাকা না দিলে আসামীর ফোনে থাকা গোপনীয় তথ্য ফাঁস করে বাদীকে ক্ষতি করবে। আসামীরা বাদী সংক্রান্ত নানা ধরনের কুরুচিপূর্ন কথাবার্তা ব্যক্তিগত তথ্য পরিবর্তন এবং বিভ্রান্তিকর কথা বলিয়া প্রচার করাসহ বাদীর মান সম্মানের হানীসহ ক্ষয়ক্ষতি করার হুমকী দেয়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করলে কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ উক্ত তিন প্রতারককে গ্রেফতার করে।
No comments:
Post a Comment