এ বছরও সেপ্টেম্বরেই পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করল ভারত। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই এমন সিদ্ধান্তে চরম বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশের আমদানিকারকরা। ভারতীয় পেঁয়াজ না আসার খবরে অস্থির হয়ে উঠেছে দেশের বাজার। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস ঠেকাতে কঠোর নজরদারির তাগিদ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভারতের রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্তের পরপরই দেশের বাজারে হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। রাজধানী ঢাকার বাজার যেন আরও এক কাঠি সরেস। আগের মজুদের পর্যাপ্ত পেঁয়াজ দোকানে থাকার পরও এরই মধ্যে ৩৮ টাকা দরের ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকায়। প্রভাবে দেশি পেয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৬৭ টাকা।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর উৎপাদন হয়েছে প্রায় ২৪ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে সংরক্ষণ দুর্বলতায় পচে যায় ৩০ শতাংশ যা প্রায় সাড়ে সাত লাখ মেট্রিক টন। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ইতোমধ্যে ভারত থেকে ৮ লাখ মেট্রিক টনের বেশি পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এসব পরিসংখ্যান বলছে, দেশে পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি নেই।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, গেল বছর থেকে শিক্ষা নিয়ে আগে থেকেই পদক্ষেপ নেয়া উচিত ছিল সরকারের।গেল বছর সেপ্টেম্বরে ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিলে এর ঝাঁঝ ঠেকে প্রায় তিনশো টাকায়।
এদিকে দেশের বাইরে ইলিশ রফতানি বন্ধ থাকলেও দুর্গা পূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ অনুমতিতে ভারতে গেল পদ্মার ইলিশের প্রথম চালান।
সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ১ হাজার ৪৫০ মে. টন ইলিশের মধ্যে দুই ট্রাকে ১২ মে.টন ইলিশ ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।
কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা আকসির উদ্দীন মোল্লা জানান, প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ধরা হয়েছে ১০ ডলার। শুল্ক মুক্ত সুবিধায় যাচ্ছে এ ইলিশ। বাকি ইলিশ পর্যায় ক্রমে আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে ভারতে ঢুকবে।
No comments:
Post a Comment