আশিতেও চিরসবুজ এটিএম শামসুজ্জামান। একুশে পদক পাওয়া চলচ্চিত্র অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের আজ আশিতম জন্মবার্ষিকী। শুভ জন্মদিন।
১৯৪১ সালের আজকের দিনে বৃহত্তর নোয়াখালী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এটিএম শামসুজ্জামান। আজ তিনি আঁশি বছরে পা দিলেন। যদিও তাকে নিয়ে বেশ ক’বার মৃত্যুর সংবাদ প্রচার হয়েছে গণমাধ্যমেও। তার ভাই সালেহ জামান সেলিম অভিযোগ করে বলেছিলেন, প্রতি রমজানেই ভাইয়ার (এটিএম শামসুজ্জামানের) মৃত্যুর গুজব ছড়ানো হয়।" আঁশি হলেও তিনি এখনো সুস্থ আছেন। মহান আল্লাহ তাকে সুস্থ রেছেন।
এটিএম শামসুজ্জামান বলেন 'আমি কখনও ঘটা করে জন্মদিন উদযাপন করিনি। জন্মদিন এলেই মনে হয়, জীবন থেকে আরও একটি বছর কমে গেল। আল্লাহপাক আরও একটি বছর দেখার সুযোগ দিলেন। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন অনেক ভালো রেখেছেন। এখন বাড়িতেই নিজের মতো করে সময় কাটাচ্ছি। ঘরে বসে অনেক সময় অনেককে দেখার ইচ্ছা হলেও দেখতে যেতে পারছি না। দূর থেকে সবার দোয়া আর ভালোবাসা চাই। আল্লাহ যেন সুস্থ রাখেন।'
কখনো গ্রাম্য মাতব্বর, কখনোবা দুষ্টু লোক কিংবা গতানুগতিকের বাইরে অন্য ধারার কমেডি চরিত্রে অভিনয় করেছেন। যে চরিত্র নিয়ে হাজির হয়েছেন, তাতে দর্শকের মন জয় করেছেন কিংবদন্তি অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান। বড় এবং ছোট দুই পর্দা কাঁপানো এক অভিনেতা। একাল সেকাল সব সমসময়ই দর্শকপ্রিয়তায় রয়েছেন। অভিনয়ের জন্য এক ক্যারিয়ারে পেয়েছেন বহু পুরষ্কারও। এখন শারীরিক অসুস্থতার কারণে অভিনয় থেকে সাময়িক দূরে রয়েছেন।
উদয়ন চৌধুরী পরিচালিত ‘বিশকন্যা’ ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসেবে সিনেমা ভুবনে জড়ান এটিএম শামসুজ্জামান। এটিএম শামসুজ্জামান শুধু অভিনেতা নন একাধারে তিনি কাহিনিকার ও চলচ্চিত্র পরিচালক। শুরু থেকেই তিনি চিত্রনাট্যও লেখেন। প্রায় শতাধিক চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য ও কাহিনি লিখেছেন তিনি।
প্রথমদিকে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করলেও ১৯৬৫ সালে ভিন্ন ধারার অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্রে আগমন তার। ১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্র পরিচালক আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ চলচ্চিত্রে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন। সে ধারাবাহিকতায় একের পর এক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন এই কিংবদন্তি। স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন কোটি দর্শকের ভালোবাসা আর পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
শিল্পকলায় অবদানের জন্য ২০১৫ সালে তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদকে সম্মানিত করা হয়।
No comments:
Post a Comment